ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ: তার সাথে আমার স্মৃতি
কেতাদুরস্ত বলতে যা বোঝায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ পুরোটা তাই ছিলেন। নিভাঁজ পোশাক, নিপাট ভদ্রলোক, মার্জিত কথা। যেমন পড়ালেখা, তেমনি জানাশোনা। রাজনীতিতে কেনো এসেছিলেন জানিনা। তার যে পরিবার, পরিচিতি আর আভিজাত্য তার কাছে রাজনীতি তুচ্ছ। রাজনীতিকরা তুই- তুমি করে ডাকলে বড় অস্বস্তি হতো। কিন্ত তার ‘তুমি’ বলে ডাকা ভালো লাগতো। মনে হতো অবিভাবক কেউ ডাকছেন। আমি আর ফরিদ আলম কতোদিন তার সচিবালয়ের দপ্তরে একসাথে বসে আড্ডা দিয়েছি – খেয়েছি ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করছেন গুলশানের বাসা-গাড়িতে চলতে চলতে। নোয়াখালীতে গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেছেন – নিজের ভিটেমাটি, ঘর দেখাতে।
আইনমন্ত্রী হয়েও নিজ মন্ত্রনালয়ের কতো স্কুপ নিউজ আমাদের দিয়েছেন। আবার বলে দিয়েছেন তার কথা না বলতে। যাতে রিপোর্ট প্রকাশের পর ওই বিষয়টি সরকারের উচ্চ লেভেলে আলোচনা হয়। সমস্যার সমাধান হয়। হয়েছেও তাই। বিএনপি আমলে সরকারের সবাই যখন চুপ, তখন তিনি কথা বলতেন। সাহস ছিলো তার। বিপদগ্রস্ত , মামলায় জড়ানো, অসুস্থ , রাজনৈতিক রোষানলে পড়া কতো সাংবাদিকের পাশে যে তিনি দাঁড়িয়েছেন তার হিসেব কেউ জানে না। জানাতেনও না ।
এই মানুষটি সবার অগোচরে বিদেশের এক হাসপাতালে কাউকে কিছু না বলেই দুনিয়া ছেড়ে গেলেন। পরম করুনাময় আপনার সহায় হোন ‘স্যার’। ভালো থাকবেন। আপনাকে অনেক মিস করবো।