ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বক্তব্য দিলেন ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে “টক উইথ স্টুডেন্টস: জেরম ওবেরিয়েট” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার, ৬ই মার্চ ২০২৪, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট। এই লেকচার সেশনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকতারা অংশ নেন। এই আলোচনায় বিশ্বের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ব্র্যাকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সেই সাথে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য এখন থেকেই তৈরি হওয়ার পরামর্শ দেন। জেরোম ওবেরিয়েট ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশল নিয়ে কাজ করার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশলের উন্নয়ন, সম্পদের ব্যবহার এবং কর্মের উৎকর্ষ সাধনে নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন তিনি।
লেকচার অনুষ্ঠানে “এক্সপ্লোরিং ব্র্যাক’স ডিসটিংটিভ অ্যাপ্রোচ টু ডেভেলপমেন্ট, হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড গ্লোবাল সলিডারিটি” শীর্ষক বক্তব্যে ব্র্যাকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন জেরম ওবেরিয়েট। তিনি বলেন, “ব্র্যাক এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের ১৬টি দেশে কাজ করছে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এবং মানবিক ক্ষেত্রে একটি ইকোসিস্টেমে তৈরি করেছে ব্র্যাক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অঞ্চলভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরির মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করেছে।”
জেরম ওবেরিয়েট তার বক্তব্যে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় অভিযোজন এবং প্রশমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ যে সমস্যায় ভুগছে এবং সেখান থেকে উত্তোরণের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আগামী দিনে সেগুলো গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।” অনুষ্ঠান শেষে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। সাফল্য এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য কৌশলগত চিন্তাভাবনা এবং সম্পদের স্মার্ট ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন জেরম ওবেরিয়েট। তিনি নবনির্মিত এই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পরিবেশগত এবং টেকসই ফিচারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এই ক্যাম্পাস প্রথাগত ক্লাসরুমের শিক্ষার বাইরেও শিক্ষার্থীদেরকে সার্বিক শিক্ষা প্রদানের প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতির নিদর্শন। বিশ্বের যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। এই ক্যাম্পাসটি ভবিষ্যতের সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অঙ্গীকারের একটি নিদর্শন।” আলোচনা অনুষ্ঠানের পর তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারপাসন এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।