আপনি জানেন কি?

এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হলে

এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হলেতীব্র গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে এসি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে অনেকেই। কিন্তু মাস শেষে উচ্চ মাত্রার বিদ্যুৎ বিল নিয়ে শঙ্কায় থাকে বেশির ভাগই। তবে একটু সতর্কতার সঙ্গে এসি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।

দরজা-জানালা বন্ধ রাখা: রুমে ফাঁকফোকর থাকলে ঠাণ্ডা বাতাস বের হয়ে যায়। ফলে এসিকে বেশি শক্তি খরচ করে কাজ করতে হয়, যার কারণে বিদ্যুৎ বিল আসে বেশি। তাই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় রুমের দরজা-জানালা ও ফাঁকা বন্ধ রাখুন। জানালা-দরজা বন্ধ রেখে এসি চালালে ঘর দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয়।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় চালু না রাখা: এয়ার কন্ডিশনারকে কখনো সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় চালু রাখবেন না। অনেকের ধারণা, রুম ঠান্ডা রাখতে এসিকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা যাবে, যা সম্পূর্ণ ভুল। বিশেষজ্ঞদের মতে, মানবদেহের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হলো ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সুতরাং এসিকেও সেই তাপমাত্রায় রাখতে হবে। এছাড়া এসির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি কমলে বিদ্যুৎ বিল ৬ শতাংশ বাড়ে। তাই এসির তাপমাত্রা ২০-২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। এতে ঘর ঠাণ্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হবে।

তাপ উৎপন্নকারী যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ: এয়ার কন্ডিশনারের থার্মোস্ট্যাট থেকে তাপ উৎপন্নকারী যন্ত্রপাতি যেমন—টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ফ্রিজের মতো যন্ত্রপাতিগুলো দূরে রাখুন। এসব যন্ত্রপাতি থেকে নির্গত তাপ থার্মোস্ট্যাটকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এগুলো এসিকে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে প্ররোচিত করতে পারে।

সার্ভিসিং করানো: সারা বছর এসি ব্যবহার করা হয় না। বিশেষ করে শীতকালে। এরফলে এতে ধুলাবালি জমে থাকে। এ কারণে রুম ঠাণ্ডা করার জন্য এসিকে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে ইলেকট্রিসিটি বিলে। এছাড়া এসি ব্যবহারের সময় ফিল্টারে ময়লা জমতে পারে। তাই মাসে অন্তত একবার ফিল্টারটি বের করে ওয়াশক্লথ দিয়ে পরিষ্কার করুন।

টাইমার ব্যবহার: সব এসিতেই টাইমার থাকে। এর সাহায্যে সারা রাত এসি না চালিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় অনেকক্ষণ এসি চললে রুম ও শরীর ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। তাই টাইমার সেট করে রাখা শরীরের জন্য ভালো। এভাবে টাইমার সেট করে দিলে নির্দিষ্ট সময় পর এসি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button