রংবেরঙ

ইঁদুর পোষেন ফারুক সাধু!

8520যুগ যুগ ধরে দেশে দেশে মানুষ কতো রকমের প্রাণীই না পোষেন। গরু-ছাগল-মহিষ, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি গৃহপালিত পশু তো বটেই, কুকুর-বিড়াল এমনকি বিষাক্ত সাপও পুষতে শোনা গেছে। কিন্তু ইঁদুর পুষতে কেউ কি শুনেছেন? যে চঞ্চল প্রাণিটি ঘরে থাকা খাদ্যদ্রব্য, কাপড়-চোপড়সহ বিভিন্ন মূল্যবান গৃহস্থালিসামগ্রী কেটেকুটে অস্থির করে তোলে আমাদের। শুধু তাই নয়, জমির ফসল, বাগানের ফল-ফলাদিও এদের হাত থেকে রক্ষা পায় না। এমন একটি প্রাণী ইঁদুরকে অতি আদর-যত্নে পালন করা হয়। বিষয়টি সত্যি অবাক করা মতো।

কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নাপিতেরচর বাজারের স্যানিটারি ব্যবসায়ী ফারুক সাধু। তিনি দুটি ইঁদুরকে সন্তানসম আদরে লালন-পালন করে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন। সেই ইঁদুর দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন তার দোকানের সামনে।

ফারুক সাধু কাজ করছেন, হাঁটছেন বা বসছেন। হাটবাজার বা দোকানে যাচ্ছেন। কিন্তু শরীর থেকে নামছে না তুলতুলে দেহের ইঁদুর দুটি। মাথা, বুক, বাহু, হাত, কোমরে আপন মনে চলাচল করছে। পিটপিট চোখে এদিক সেদিক দেখছে। কখনও বা নিজেরা খুনসুঁটি করছে। আর এই তামাশা দেখতেই মানুষের ভিড়।

এত প্রাণী থাকতে ইঁদুর কেন? এর জবাবে ফারুক সাধু জানান, তিনি শখ করে দুটি ইঁদুর পুষছেন। এতে নিজের আনন্দের পাশাপাশি এলাকার লোকজন আনন্দিত হওয়ায় তার খুব ভালো লাগে। তার শরীরে এরা চলাচল করলে তিনি কাজে বেশ গতি পান। গোসল আর ঘুম ছাড়া তিনি এদের শরীর থেকে নামিয়ে রাখেন না। যেখানেই যান, শরীরে বয়ে বেড়ান।

খুব অল্প খরচে তিনি এদের লালন পালন করছেন বলে জানান। খাদ্য হিসেবে খাওয়ান পশুখাদ্য ফিট আর দুধের মালায়। ইঁদুর পুষে তার অনেক উপকার হচ্ছে বলে তিনি জানান। যেমন তার পোষা ইঁদুরের ভয়ে অন্যান্য ইঁদুর আশেপাশে ভিড়তে পারে না। ফলে ঘরে-বাইরের সব জিনিসপত্র অন্য ইঁদুরের ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।

এ ছাড়া তাঁর পোষা ইঁদুরের এই দুষ্টমি দেখতে প্রতিদিন আশেপাশের বহু মানুষ জড়ো হয়। যারা দেখে যান, তারা আবার অন্যদের বলেন। এতে করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার হয়ে যাচ্ছে বিনে পয়সায়। বিক্রিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।উপকৃত হতে এবং নিজেসহ অন্যদের আনন্দ দিতে সবাইকে ইঁদুর পোষার আহ্বান জানান চমৎকার মানুষ ফারুক সাধু।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button