আগামী ২৫ থেকে ২৮ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলন, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি মোহাম্মদ হাসান মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে সম্মেলনে নেতৃত্ব দেবেন। তারা আসিয়ানের অগ্রাধিকারভিত্তিক এজেন্ডা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য এবং ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়ে আলোচনায় দেশের অবস্থান তুলে ধরবেন।
বিশ্বব্যবস্থা এখন বহুমেরু বাস্তবতায় প্রবেশ করছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, জাপান ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ ও বৈশ্বিক উৎপাদনের প্রায় ৬২ শতাংশ এই অঞ্চলেই কেন্দ্রীভূত। ফলে এখানকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৈশ্বিক ভবিষ্যতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
এই প্রেক্ষাপটে আসিয়ান নিজেকে নিরপেক্ষ ও মধ্যস্থতাকারী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান জাতিসংঘে বলেন, “দক্ষিণ চীন সাগরকে পরাশক্তিদের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র বানানো যাবে না; দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করবে এখানকার জনগণ।” সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও ব্রিকস দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
“অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন” থিমে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়ে রয়েছে আসিয়ান কমিউনিটি ভিশন ২০৪৫, ডিজিটাল ইকোনমি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট, ও তিমুর-লেস্টের সদস্যপদ গ্রহণ। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ সম্মেলন বৈশ্বিক ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন না আনলেও এটি আসিয়ানের ঐক্য, কূটনৈতিক নেতৃত্ব ও সহযোগিতার সক্ষমতা যাচাইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হবে।



