স্বাস্থ্যহাইলাইটস

শিপ হাসপাতালের চিকিৎসা: জটিল প্যারালাইসিস মুক্ত হয়ে ফের হাঁটছে সিয়াম

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালপ্যারালাইসিস জয় করে হাঁটতে শুরু করেছেন সিয়াম। মাদ্রাসা পড়ুয়া এই কিশোরের দু:স্বপ্ন কেটে গেছে। ‘এপিডুরাল অ্যাক্সেস’ জয় করে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে সে। ঢাকার শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে জাপানি ও বাংলাদেশি সার্জনদের সম্মিলিত জটিল অস্ত্রোপচারের পর এখন সম্পূর্ণ সুস্থতার পথে সিয়াম।

গত ১২ সেপ্টেম্বর হঠাৎই জটিল এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলে সে। দুই পা দুর্বল এবং অবশ হয়ে যায়। পরিবার সদস্যরা তাকে শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা পরীক্ষার পর দেখতে পান ‘এপিডুরাল অ্যাক্সেস’ হয়েছে সিয়ামের। যা মেরুদণ্ডের স্নায়ুর উপর পুঁজ জমার ফলে তৈরি অসুস্থতা।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালশিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহরিয়ার ইসলাম খান জানান, স্নায়ুর উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টির ফলে এতে রোগী হঠাৎ প্যারালাইসিস হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্ত রোগী সারাজীবনের জন্য পঙ্গুও হয়ে যান। কিন্তু শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগ নির্নয়ের পর দ্রুত এক জটিল সার্জারির মাধ্যমে সিয়ামকে সেই অভিশাপ মুক্ত করেছেন। ডা. শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেন, সার্জারির ১২ দিন পর সিয়াম হাটাচলা শুরু করেছেন।

অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে ওঠা সিয়াম জানান, খাবার খেতে গিয়ে পিছলে পড়ার পর তিনি কোমরে হালকা ব্যথা পান। এরপর ধীরে ধীরে তার দুই পা অবশ হয়ে যায়। তবে এখন তিনি অনেক ভালো। সিয়ামের পিতা রইচ  তার ছেলের সুস্থতার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো হাড় ভাঙার প্রমাণ না পেলেও, এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানে মেরুদণ্ডের নার্ভের ওই সমস্যা ধরা পড়ে।

সিয়ামের পুরোপুরি সুস্থ হতে  এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে বলেও জানান চিকিৎসকরা। শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল জাপানি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নত, নিরাপদ এবং বিশ্বমানের হৃদরোগ ও নিউরো চিকিৎসা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এই চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল হলেও শিপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে তা সহনীয়। যা এরিমধ্যে প্রশংসা পেয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জাপানি সার্জনদের রোগীদের প্রতি অসীম মমতা ও দায়িত্ববোধের কারণে অপারেশনের পর নিবিড় পরিচর্যা ও সঠিক চিকিৎসায় জটিলতার হার এখানে অনেক কম। জাপান সরকার এই হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে, যা এ দেশের মানুষের জন্য বিশ্বমানের চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker