মালয়েশিয়ার সাবাহর ১৭তম রাজ্য নির্বাচনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাপট সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে। মোট ৭৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায় দলগুলোর তুলনায় সংখ্যার দিক থেকে তারা শীর্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া, স্থানীয়ভাবে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা বা স্বাধীন পরিচয়ে লড়াইয়ের কৌশলের কারণেই বহু প্রার্থী স্বতন্ত্র হয়ে মাঠে নেমেছেন। এতে বিভিন্ন আসনে বহু-মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়েছে, যা ভোট বিভাজনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বড় দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ লড়াইয়ের আসনগুলোতে তাদের প্রভাব ফলাফলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
১৫ নভেম্বর শনিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন গ্রহণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৮ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আগাম ভোট ২৫ নভেম্বর এবং মূল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ নভেম্বর। সাবাহ নির্বাচন সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশন বিশেষ ওয়েবসাইট চালু করেছে: prn.bernama.com/sabah
দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৩ প্রার্থী নিয়ে মাঠে নেমেছে পার্টি ওয়ারিসান সাবাহ। ৭২ প্রার্থী নিয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে পার্টি ইম্পিয়ান সাবাহ। গাবুঙ্গান রাক্যাত সাবাহ (জিআরএস) দিয়েছে ৫৩টি প্রার্থী। বারিসান ন্যাশনাল (বিএন) লড়ছে ৪৫ আসনে, পেরিকাতান ন্যাশনাল (পিএন) ৪২ আসনে ও পাকাতান হারাপান (পিএইচ) ২২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ১৭,৮৪,৮৪৩ জন ভোটার এবার ভোটাধিকার প্রয়োগের যোগ্য। এর মধ্যে নিয়মিত ভোটার ১৭,৬০,৪১৭ জন, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও তাদের স্বজন ১১,৬৯৭ জন এবং পুলিশ সদস্য ও তাদের স্বজন ১২,৭২৯ জন।



