জলবায়ু অর্থায়ন দরকষাকষির বিষয় নয়, এটি ন্যায়বিচার ও মানব মর্যাদার : ফরিদা আখতার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জলবায়ু অর্থায়ন বাংলাদেশের জন্য কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়; এটি টিকে থাকা, ন্যায়বিচার ও মানব মর্যাদার প্রশ্ন। তিনি বলেন, আমরা এখানে সমস্যার কথা আবার বলতে আসিনি, এসেছি এমন সমাধান খুঁজতে, যা আমাদের ভোগান্তির গভীরতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ব্রাজিলের বেলেমে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০-এর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত একটি সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসি) শিশু ও যুব কনস্টিটিউয়েন্সি ইয়োঙ্গোর লস অ্যান্ড ড্যামেজ ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে ‘স্থানীয় থেকে বৈশ্বিক : লস অ্যান্ড ড্যামেজ কাঠামোতে যুব অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আজ কথা বলছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে—যাদের জীবন, ঘরবাড়ি আর ভবিষ্যৎ জলবায়ু সংকটে বদলে যাচ্ছে প্রতিদিন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রে না রাখলে পুরো কাঠামো অর্থহীন হয়ে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়তে থাকা ক্ষয়ক্ষতির চাপ সামলাতে এবার তরুণদের সামনে এগিয়ে আনছে বাংলাদেশ।
মূল তথ্যপত্র উপস্থাপনের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব জাতীয় লস অ্যান্ড ড্যামেজ কাঠামো প্রস্তুত করছে, যা আন্তর্জাতিক চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগোবে। তিনি নিশ্চিত করেন, এই কাঠামাতে তরুণদের কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করা হবে।
প্যানেল আলোচনায় তরুণ প্রতিনিধিরা জলবায়ু তহবিলে সহজ প্রবেশাধিকার, রিয়েল-টাইম স্বচ্ছতা টুল, আগাম সতর্কতাভিত্তিক অর্থায়ন, ছোট অনুদান, সক্ষমতা বৃদ্ধি, তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্থায়ী যুব প্রতিনিধিত্ব এবং তথ্যভিত্তিক সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরির দাবি জানান। প্যানেল আলোচনায় ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান, নেপালের তরুণ প্রতিনিধি প্রয়াশ অধিকারী এবং জলবায়ু নীতি বিশ্লেষক হারজিৎ সিংহ-সহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



