গালফ হেলথ কাউন্সিলের সঙ্গে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের বৈঠক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া এবং গালফ হেলথ কাউন্সিলের মহাপরিচালক সুলাইমান সালেহ আল দাখিল বৈঠক করেছেন। গতকাল (সোমবার) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আজ ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকের শুরুতে গালফ হেলথ কাউন্সিলের মহাপরিচালক ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়াকে স্বাগত জানান এবং প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে তার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
জিসিসিভুক্ত দেশসমূহে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গালফ কাউন্সিলের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের সিনিয়র সচিব। বৈঠকে তিনি জানান, গালফ হেলথ কাউন্সিল অনুমোদিত অধিকাংশ মেডিকেল সেন্টার ঢাকায় অবস্থিত। অথচ বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী অধিকাংশ শ্রমিক গ্রামে বসবাস করেন। তাই মেডিকেল টেস্টের জন্য ঢাকায় আসা তাদের জন্য কষ্টকর ও ব্যয়সাধ্য। ড. নেয়ামত উল্যা আরও বলেন, অনেক টেস্ট সেন্টারের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত আদায়, সময়মত টেস্ট রিপোর্ট আপলোড না করাসহ প্রবাসীদের হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে।
গালফ হেলথ কাউন্সিলের বাংলাদেশে কোন আঞ্চলিক তদারকি অফিস না থাকায় মেডিকেল সেন্টারসমূহকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী মেডিকেল সেন্টারসমূহকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে গালফ হেলথ কাউন্সিল, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন ড. নেয়ামত উল্যা। এ লক্ষ্যে তিনি ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় কমিটি গঠন এবং প্রত্যেক পক্ষ হতে একজন করে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। এছাড়া মেডিকেল সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে পাওয়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সিলকে জানতে অনলাইন প্লাটফর্ম স্থাপনেরও প্রস্তাব করেন।
কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ১১০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং জেলা ও মাঠ পর্যায়ের অফিসকে সম্পৃক্ত করার কথাও বলেন। গালফ হেলথ কাউন্সিল মহাপরিচালক অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীদের সহজে, কম খরচে ও সুষ্ঠুভাবে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদেশগামী কর্মীদের হয়রানি রোধে যাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি, অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে কাউন্সিলকে জানানো এবং ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়েও একমত হন।
তিনি কাউন্সিল অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং কাউন্সিলের অধিকতর নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার বিষয়ে বাংলাদেশের দেওয়া প্রস্তাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনেরও আশ্বাস দেন। এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বীসহ দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



