জেলার খবরলিড নিউজ

১২ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা, শঙ্কা শৈত্যপ্রবাহের

উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের প্রকোপ।
উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের প্রকোপ।

উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রভাব। সকাল-সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ, তবে সূর্য ওঠার পরপর কিছুটা স্বস্তি মিলছে মানুষের। আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের দিকে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, এতে পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে যায়। দিনের বেলা কিছুটা রোদ উঠলেও সূর্যের তাপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ভোর ও রাতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষেরা, বিশেষ করে ভ্যানচালকরা পড়েছেন দুর্ভোগে। ভ্যানচালক আজগর আলী বলেন, ‘ভোরে এমন ঠান্ডা লাগে যে চাকা ধরতেই হাত জমে যায়। গরম কাপড় না থাকলে রাস্তায় নামা কষ্টকর। তবু পেটের দায়ে বের হতেই হয়।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আজ সকাল ৬টায় ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয় এবং এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।

গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও আজ ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘উত্তর দিক থেকে আসা শীতল বাতাস ও পরিষ্কার আকাশের কারণে তাপমাত্রা দ্রুত কমছে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে, তখন তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।’

এমন আরো সংবাদ

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker