লাইফস্টাইল

ত্বকে বয়সের ছাপ? এই পানীয়গুলোতে মিলবে সমাধান

লাইফস্টাইলআপনি কি বলিরেখামুক্ত উজ্জ্বল ত্বক চান? তাহলে কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবারই হতে পারে এর সমাধান! এই প্রোটিন ত্বককে তরুণ এবং মসৃণ দেখায়। আপনি কি জানেন যে, আমাদের প্রতিদিনের খাবার ত্বককে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে? অভিনব ক্রিম বা দামি সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন নেই। কিছু দৈনন্দিন পানীয় শরীরকে কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এই পানীয়গুলোতে পুষ্টিগুণ থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে। প্রতিদিনের রুটিনে এগুলো যোগ করে আপনি আরও সুস্থ, উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন

কোলাজেন কীভাবে ত্বককে সাহায্য করে? কোলাজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা একে তারুণ্যদীপ্ত চেহারা দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস পায়, যার ফলে বলিরেখা এবং ঝুলে পড়া ত্বক দেখা দেয়। কোলাজেন ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত করতে সাহায্য করে, সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখার উপস্থিতি কমায়। কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে আরও উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন, যা দেখতে মসৃণ এবং কোমল লাগে। পুষ্টিবিদদের মতে, আমাদের শরীরে কোলাজেন তৈরিতে সাহায্যকারী পুষ্টি উপাদানগুলো হলো, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার।

১. অ্যালোভেরার জুস

২০০৯ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, অ্যালোভেরা  উদ্ভিদ স্টেরল সমৃদ্ধ যা আপনার ত্বকের ভিতরে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। অ্যালোভেরা জুসের নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং হাইড্রেশন উন্নত করতে পারে, যা ধীরে ধীরে ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা কমাতে পারে। এছাড়াও, অ্যালোভেরা জেল প্রদাহ-বিরোধী, যা ভেতর থেকে ত্বকের জ্বালাপোড়া শান্ত করে ত্বককে একটি সতেজ চেহারা দেয়।

২. ডাবের পানি

ডাবের পানি ত্বককে পুষ্ট রাখার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়ের মধ্যে একটি। ২০১৮ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, এতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা শরীরে প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন তৈরির জন্য অপরিহার্য। ডাবের পানি পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে পরিপূর্ণ, যা ত্বকের কোষগুলোকে সুস্থ এবং হাইড্রেটেড রাখে। প্রতিদিন এক গ্লাস ডাবের পানি আপনাকে মসৃণ এবং বলিরেখামুক্ত ত্বক দিতে পারে।

৩. ডালিমের রস

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারী হিসেবে পরিচিত ডালিমে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোলাজেনকে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ২০০৬ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, তাজা ডালিমের রস পান করলে কোলাজেনের ভাণ্ডার রক্ষা করে বলিরেখা কমানো যায় এবং ত্বকের দৃঢ়তা বজায় রাখা যায়। এটি হাইড্রেশন এবং উজ্জ্বলতা উন্নত করতেও সাহায্য করে, যা ত্বককে একটি প্রাকৃতিক আভা দেয়। প্যাকেজজাত পানীয় কেনার পরিবর্তে তাজা ডালিমের রস পান করতে ভুলবেন না, কারণ এতে অতিরিক্ত চিনি থাকে।

৪. হলুদ ও দুধ

এটি একটি কোলাজেন-বান্ধব পানীয়। ২০২০ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, হলুদে কারকিউমিন থাকে, যা প্রদাহ কমাতে এবং কোলাজেন ভাঙন রোধ করতে পরিচিত একটি যৌগ। দুধের সঙ্গে মেশালে এটি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্য আরও ভালো করে। কারকিউমিন শোষণ বাড়ানোর জন্য এক চিমটি গোল মরিচ এবং স্বাদকে স্বাস্থ্যকর করার জন্য মধু মিশিয়ে নিন।

৫. সাইট্রাস-মিশ্রিত পানি

২০১৮ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন সি ছাড়া শরীরে কোলাজেন তৈরি হতে পারে না এবং সাইট্রাস ফল হলো সবচেয়ে সহজ উৎস। কমলা এবং লেবুতে এই গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে, যা কোলাজেন সহায়তার জন্য একটি সহজ কিন্তু শক্তিশালী। ত্বকের মেরামত বৃদ্ধির পাশাপাশি, এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং হাইড্রেশন বাড়াতেও সাহায্য করে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker