লাইফস্টাইল

চুপ থাকা কেন জরুরি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
কথা না বলে কি আর থাকা যায়! জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নানা সময়ে আমাদেরকে বিভিন্ন কারণে যোগাযোগ করতে হয় আশপাশের বা দূরের কারো সঙ্গেও। হতে পারে তা পরিবারের সদস্য, বন্ধু, সহকর্মী বা নিতান্ত অচেনা কেউ। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে বা পথ চলতেও যোগাযোগ না করে, কথা না বলে উপায় নেই।  তবে আমাদের জীবনে এমন কিছু পরিস্থিতি বা সময় আসে, যখন আসলে কথা না বলে চুপ থাকাই ভালো। এক্ষেত্রে সামনের মানুষটি যেমন অনভিপ্রেত কিছু শোনার মতো পরিস্থিতি এড়াতে পারবেন, তেমনি আপনিও অস্বস্তিকর কোনো কথোপকথন থেকে বেঁচে যাবেন। অনেক সময় হয়তো নীরবতাই সমাধান হতে পারে। এবার তাহলে জেনে নেই, কেন চুপ থাকা জরুরি-

১। মস্তিষ্কে নতুন কোষ জন্মায়

একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে প্রতিদিন যদি নিয়ম করে যোগ ব্যায়াম করা যায় তাহলে মস্তিষ্কে নতুন কোষের জন্ম হয়। এর ফলে আমাদের নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা বেড়ে যায় ও স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।

২। মানসিক চাপ কমায়

যখন দেখবেন স্ট্রেস লেভেল বাড়ছে, তখনই একটা নিঃশব্দ জায়গায় চলে যান। সেখানে কিছুক্ষণ বসে বড় বড় শ্বাস নিন। এটা করলে অল্প সময়ের মধ্যেই মানসিক চাপ দূর হবে। মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মস্তিষ্ককে বিচলিত করে যার প্রভাব পুরো শরীরের ওপর পড়ে। অপরদিকে নৈঃশব্দ্য মস্তিষ্ককে শান্তি দেয়, যা টেনশন দূর করার সব থেকে ভালো উপায়।

৩। অনিদ্রা দূর করে

নীরবতা ঘুমের সাইকেল স্বাভাবিক করে। ফলে অনিদ্রা দূর হয়। তাই দিনে যদি কয়েক মিনিট মনস্তাত্ত্বিক ব্যায়াম বা মেডিটেশন করা যায় তাহলে অনিদ্রা, অবসাদ এমনকি ক্লান্তিও দূর হয়। ফলে শরীর ও মন দুই-ই তরতাজা হয়ে ওঠে।

৪। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত যদি কিছুটা সময় শান্ত পরিবেশে কাটান, তাহলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি আপনার শ্বাসক্রিয়া স্বাভাবিক করে।

৫। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

কিছুটা সময় চুপ করে থাকলে মানসিক স্থিরতা ফিরে আসে ও স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে সাধারণভাবেই রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসে। আর রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে গেলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাই সুস্থভাবে দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে৩ মিনিট একেবারে চুপ থাকার চেষ্টা করুন।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker