জলবায়ু পরিবর্তনহাইলাইটস

কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধের অঙ্গীকার ১৯০ দেশ ও সংস্থার

7474জ্বালানি উৎপাদনে কয়লা ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্যতম পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চিলিসহ ১৯০টি দেশ ও সংস্থা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করেছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের চলমান জলবায়ু শীর্ষক কপ-২৬ সম্মেলনে রাষ্টপ্রধানেরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যুক্তরাজ্য সরকারের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে বিবিসি। তবে, কয়লানির্ভর বড় বড় দেশ এ সিদ্ধান্তে সম্মতি জানায়নি। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসার অঙ্গীকার করেনি।

ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, ৪০টির বেশি দেশ এরই মধ্যে সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছে। পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চিলিসহ ১৮টি দেশ বলেছে, তারা কয়লা থেকে সরে আসবে এবং এখন থেকে নতুন করে আর কোনো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে না। এমন অঙ্গীকার এই প্রথম।

কয়লা জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখে। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩৭ শতাংশ কয়লা থেকে এসেছে।

যুক্তরাজ্য সরকার আরও জানায়, সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা নিজেদের দেশে এবং দেশের বাইরে নতুন করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিনিয়োগ বাতিল করতে সম্মত হয়েছে। এসব দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বড় অর্থনীতির দেশগুলো থেকে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে দরিদ্র দেশগুলো থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল চায়।

যুক্তরাজ্যের ব্যবসা ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী কাওয়াসি কাওয়ারতেং বলেন, ‘কয়লার অবসান আসন্ন। পৃথিবী সঠিক পথে এগোচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর ভবিষ্যত নির্মাণের অর্থনৈতিক উপকারিতা ও পরিবেশগত সুবিধা বুঝে কয়লার অবসানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।’

তবে, যুক্তরাজ্যের ছায়া বাণিজ্যমন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড বলেছেন, ‘চীনসহ বড় বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হওয়ার মধ্যে ‘পরিষ্কার ফাঁকি’ রয়ে গেছে। চীন তার দেশে কয়লার ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়নি।’ তা ছাড়া তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধের বিষয়েও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলেও সতর্ক করেন এড মিলিব্যান্ড।


কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধের অঙ্গীকার ১৯০ দেশ ও সংস্থার

এমন আরো সংবাদ

Back to top button