হাইলাইটস

মাচায় আঙ্গুর চাষে সফলতার স্বপ্ন

dfদেশের মাটিতে আঙ্গুর চাষ সত্যিই অভাবনীয়। সবুজ পাতার নিচে বাঁশের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুঁলছে আঙ্গুর ফল। যা দেখে যে কোন মানুষের চোখ জুড়িয়ে যাবে। আর এ দৃশ্য চোখে পড়ে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের পোষ্ট অফিস মোড় এলাকার ‘সেমন্তী হাট বাজার’ এর আঙ্গিনায়। উপজেলায় আঙ্গুর চাষ অকল্পনীয় তারপর আবার মিষ্টি আঙ্গুর অনেকটা গল্পের মত হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা এক আইনজীবী সামিউন নবী সামীম। তিনি উপলোয় প্রথম মাচা পদ্ধতিতে আঙ্গুর ফলের চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

ইতোমধ্যে গাছে ব্যাপক ফলও এসেছে। এই তরুণ উদ্যোক্তার প্রত্যাশা অচিরেই মহাদেবপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে আঙ্গুর চাষ শুরু হবে। এখন সামীমের চোখে সফলতার রঙ্গীন স্বপ্ন। সাধারণত অষ্ট্রেলিয়া ভারতসহ বেশ কিছু দেশে মিষ্টি আঙ্গুরের চাষ হলেও বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের বাসিন্দা সামিউন নবী সামিম ২০১৯ সালে রাজশাহী থেকে ২টি লাল ও ২টি কালো আঙ্গুরের চারা (কাটিং) নিয়ে আসেন। সেই চারা রোপণ করেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায়। গত বছরের শেষের দিকে গাছে প্রথম ফল আসে। এ বছর অনেকটা পরিপূর্ণ ফল দেখে তিনি সফলতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। আঙ্গুর মিষ্টি হওয়ায় পরিপূর্ণভাবে গাছের পরিচর্যা শুরু করেন। ফলে দুই বছরের মাথায় প্রথমবারের তুলনায় ৫/৬ গুণ বেশি আঙ্গুর ফল ধরে। আঙ্গুর ফল যখন পাকা শুরু করে, তখনই এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায়। কারণ মিষ্টি আঙ্গুর ফলের চাষ ইতোপূর্বে জেলার কোথাও হয়নি।

আঙ্গুর গাছ দেখতে আসা দর্শনার্থী ও এলাকাবাসী জানান, সামিমের আঙ্গুর বাগানের মাধ্যমে আমরা ফরমালিনমুক্ত সু-স্বাদু আঙ্গুর খেতে পারছি। এখন দরকার উদ্যোগ নেয়া। উদ্যোগ নিলেই এটা ব্যাপক আকারে উৎপাদন করা সম্ভব। অপর একজন জানান, সামিমের এই চাষে আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তার কাছ থেকে চারা নিয়ে আমিও চাষ শুরু করব ভাবছি।

সামিউন নবী সামিম জানান, গাছ লাগানোর অদম্য ইচ্ছা থেকে ৪টি আঙ্গুরের চারা রোপণ করে শুরু করেন আঙ্গুর বাগান। গত বছর তার গাছে প্রায় ৬ কেজি ফল আসে। এবছরও ভাল ফলন হয়েছে। বাজারের কেনা আঙ্গুরের মতই সুমিষ্ট।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, আইনজীবী সামিউন নবী সামিমের আঙ্গুর বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। আঙ্গুর চাষ করে ভাল ফলনও পেয়েছেন। মূলত শখের বসেই মহাদেবপুরে আঙ্গুর চাষ হচ্ছে। যা অনেকটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হবে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button