দেশ

জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির দায়িত্ব যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রের হাতে

খসড়া আইনে মন্ত্রিসভার সায়

NIDদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি মাত্র পরিচয়পত্র তৈরির লক্ষ্যে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০২৩’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।  বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন এ আইন সংসদে পাসের পর কার্যকর হলে নাগরিকদের পরিচয়ের একটিই নম্বর থাকবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জন্মের পরই দেয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, নতুন আইনে পরিচয়পত্র তৈরির দায়িত্ব চলে যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তাসেবা বিভাগের অধীনে। নির্বাচন কমিশন তখন এনআইডি তৈরির বদলে কেবল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে। তবে এখন যাদের এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) আছে সেটা থাকবে। ১৮ বছরের নিচের সবাইও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন করতে পারবে। সব নাগরিকের একটা ইউনিক নম্বর থাকা দরকার। এটি তার জন্মগত অধিকার।

বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি, সংশোধনসহ এ-সংক্রান্ত সব দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন কমিশন। নতুন আইন কার্যকর হলে নির্বাচন কমিশনের এনআইডি-সংক্রান্ত দায়িত্ব হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হলে তারা তাকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করবে। আর নাগরিকরা জন্মের পর পরই নিবন্ধন করে ফেলতে পারবে, যা করতে হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই দেশের সব নাগরিকের একটাই নম্বর থাকুক। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। কোনো নাগরিক জন্মের পর থেকেই এ নম্বরে পরিচিত হবেন। জন্মনিবন্ধনের পাশাপাশি এ নম্বর থাকবে। তার সব পরিচয় এ আইডিতে থাকবে।’  প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর পরই কার্যকর হবে না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘বরং সরকার এর কার্যকারিতার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে। সে অনুযায়ী তা কার্যকর হবে।’

এমন আরো সংবাদ

Back to top button