ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (পিএসসি) মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ বলেছেন, টিসিবি একটি সেবামুলক ব্যবসা। সেবামূলক এই ব্যবসাকে পূঁজি করে অতীতে অনেক অনিয়ম-দুর্র্নীতি হয়েছে। যারা এসব অনিয়মের সাথে জড়িত ছিল তাদের পরিনতিও হয়েছে ভয়াবহ। তাই আগামীতে দোকান যার ব্যবসা তার। প্রতিটি দোকানদার মাসব্যাপি এ ব্যবসা করতে পারবেন। মাসব্যাপি এ ব্যবসা করে তাদের যে মুনাফা হবে তাতেই সংসার চলার পথ তৈরি হবে। তাই প্রতিটি ডিলার যাতে আটশো থেকে পনেরশো কার্ড পান সে ব্যবস্থা সরকার করছে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য টিসিবির ভোক্তা কার্ডকে স্মাট কার্ডে পরিনত করা হচ্ছে। প্রথমে কিছু সমস্যা হলেও এখন সেটা আর নেই। সারা বাংলাদেশের মধ্যে বগুড়ায় টিসিবি ব্যবসায়ীদের কোন অভিযোগ অনিয়ম সরকারের খাতায় নেই। কিন্তু একই ওয়ার্ডে একাধিক বা তারও অধিক ডিলার রয়েছে। সরকার একটা নিয়মের মধ্যে ডিলার নবায়নের সুযোগ দিয়েছে। নবায়নে প্রকৃত ব্যবসায়ী কেউ বাদ পড়বেন না। সঠিক তথ্য দেয়া থাকলে তারাই ডিলার থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, গত রমজানে বগুড়া শহরে ৫টি ভ্রাম্যমান ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি হলেও আসছে ঈদুল আযহায় তা বাড়িয়ে একসাথে পৃথক ১০টি স্থানে ১০টি ভ্রাম্যমান ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হবে। যাতে ভোক্তারা কোন অসুবিধায় না পড়েন। কাউকে যেন লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়।
বৃহস্পতিবার ৮ মে বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বগুড়ার টিসিবি ডিলারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বগুড়া জেলা প্রশাসক ও যুগ্ম সচিব হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ জেদান আল মুসা, টিসিবিরি যুগ্ম পরিচালক (আইন শাখা) প্রতাপ কুমার, সহকারি পরিচালক ও বগুড়া অফিস প্রধান সাদ্দাম হোসাইন, ডিলার ফজলুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মেজবাউল করিম। পরে প্রধান অতিথি বগুড়ায় টিসিবির ডিলারদের দোকান পরিদর্শন করেন।
বগুড়া টিসিবি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮জন টিসিবির ভোক্তা রয়েছে। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের পর স্মার্টকার্ড নবায়ন হয়েছে ১লাখ ২১ হাজার ৯০৫টি। আজ পর্যন্ত ৯৭ হাজার ৮২১জন ভোক্তা স্মার্টকার্ড চালু অবস্থায় হাতে পেয়েছেন।
