মালয়েশিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল আসিয়ান কো-অর্ডিনেটিং সেন্টার ফর অ্যানিমাল হেলথ অ্যান্ড জুনোসিস (আক্কাহ্জ) —যা প্রাণী রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জুনোটিক রোগ প্রতিরোধে আসিয়ান অঞ্চলে নতুন ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নতুন এই কেন্দ্রটি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রাণী রোগ পর্যবেক্ষণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সমন্বয় করবে। বিশেষ করে পশু থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে এমন রোগ (জুনোসিস) মোকাবিলায় কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
১৯ নভেম্বর নতুন এই কেন্দ্রটি উদ্বোধনকালে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব দাতুক সেরি ইশাম ইশাক জানান, এই উদ্যোগের সূচনা ২০০৭ সালে হলেও ২০১৬ সালে সব আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার পর প্রকল্পটি দ্রুত এগিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আক্কাহ্জ এখন একটি আইনগত সত্তা, যা প্রাণী রোগ পর্যবেক্ষণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় গড়ে তুলবে।
মালয়েশিয়ার সরকারের সহায়তায় বর্তমানে সেলাংগরের সালাক তিঙ্গিতে কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। এ জন্য পশুসম্পদ বিভাগ (ডিভিএস) প্রয়োজনীয় কারিগরি ও প্রশাসনিক সহায়তা দিচ্ছে।
পশুসম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক ড. মোহদ নুর হিশাম মোহদ হারুন জানান, আক্কাহ্জ চালু হওয়ার ফলে আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রাণী রোগ প্রতিরোধে সমন্বয় আরও শক্তিশালী হবে। তার ভাষায়, কেন্দ্রটি প্রাণী রোগ নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রটির আন্তর্জাতিক সংযোগ—বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ–ও–এ–এইচ ) ও খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফ–এ–ও)-এর মতো সংস্থার সঙ্গে—আসিয়ান দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, সম্পদ এবং অর্থায়নের সুযোগ বাড়াবে।
বর্তমানে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ ২০১৬ সালের প্রতিষ্ঠা চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। সাম্প্রতিক ৪৭তম আসিয়ান সম্মেলনে আসিয়ান সদস্যপদ লাভের পর তিমুর-লেসতেকেও আক্কাহ্জ -এর সদস্যপদ দেওয়া হবে।
বর্ষা মৌসুমে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশুসম্পদ বিভাগ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক নুর হিশাম।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য গবাদিপশুর নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর ও খাদ্য সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। যাদের পশুখাদ্যে পৌঁছানো কঠিন, তাদের বিশেষভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। রাজ্য ও জেলা পর্যায়ে সমন্বিতভাবে এসব সহায়তা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।



