প্রবাস

মালয়েশিয়া প্রবাসী ড. তারিকুলের গবেষণা প্রকল্প ন্যানো স্যটেলাইট প্যাচ অ্যান্টেনা

প্রবাসী ড. তারিকুলের গবেষণা, উদ্ভাবন ও বাণিজ্যিকীকরণ প্রদর্শনীর অন্যতম সেরা আকর্ষণ ছিল প্রবাসী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের গবেষণা প্রকল্প ন্যানো স্যটেলাইট কমপ্যাক্ট সি ব্যান্ড প্যাচ অ্যান্টেনা।
মালয়শিয়ার খ্যাতনামা উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া  ১৫ অক্টোবর আয়োজিত হয়ে গেলো গবেষণা, উদ্ভাবন ও বাণিজ্যিকীকরণ প্রদর্শনী । ইউকে এমের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, অধ্যাপক দাতো ড. রোসলি বিন রাজিকান এর সভাপতিত্বে টেকনোপলিস সাইবার একাডেমি এর অডিটোরিয়াম হলে প্রদর্শনীর পর্দা উন্মোচিত হয়। এ বছরের আলোচ্য বিষয় ছিলো টেকনোলজির কমার্শিয়ালাইজেশন এবং উদ্ভাবন টেকসই গবেষণা। এই প্রোগ্রামে তিনি ইউকেএম এর ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সেরা ১০ টি বাণিজ্যিক পণ্য উদ্বোধন করেন।

২ দিন ব্যাপি চলা প্রদর্শনীতে অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সেরা গবেষণা প্রজেক্ট গুলোর বানিজ্যিকীকরণ, ইন্ডাস্ট্রি কোলাবোরেশান এবং গবেষণা পত্র শীর্ষক সেমিনার আয়োজিত হয়। প্রদর্শনীর সেরা ১০ বানিজ্যিক প্রজেক্টে স্থান পাওয়া অন্যতম আকর্ষনীয় গবেষণা প্রজেক্ট হলো ন্যানো স্যাটেলাইটের জন্য তৈরি করা কমপ্যাক্ট প্যাচ অ্যান্টেনা যা সি ব্যান্ড এ পরিচালিত হয়।

এই প্যাচ অ্যান্টেনাটি জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি কর্তৃক তৈরি করা একটি কিউবস্যাটেলাইটে  ইনস্টল করা হয়েছে যা গত ২৪ মার্চ ২০২২ তারিখে রাত ৯:১০  এ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। স্যাটেলাইট মিশনে সি ব্যান্ড কমিনিউকেশন বোর্ড ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ২০ এমবিপিএস উচ্চ গতির ক্ষমতা সম্পন্ন ডেটা ডাউনলিংক পাওয়া যায়। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এই সি ব্যান্ড এন্টেনা, মোবাইল গ্রাউন্ড মিশনে ১ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলিংক স্পিড প্রদর্শন করে যা মূল গ্রাউন্ড স্টেশনে একই ফ্রিকোয়েন্সিতে ব্যবহার করা হয়। প্রস্তাবিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মাইক্রোস্ট্রিপ অ্যান্টেনা সিস্টেমে কোএক্সিয়াল ফিড টেকনিক ব্যবহার করা হয়। এর গঠনগত আকৃতিতে একটি অপ্রতিসম বর্গাকার প্যাচ এবং একটি প্যাসিভ আয়তকার স্ট্রিপ রয়েছে। এটি সহজেই কিউবস্যাটেলাইটের যে কোনো আকারের ধাতব বা অধাতব পৃষ্ঠে সংযুক্ত করা সম্ভব। মালয়েশিয়ার গবেষণা এবং আবিষ্কারের দিক থেকে অন্যতম সেরা মাইলফলক অর্জন করেছে এই কমপ্যাক্ট  সি ব্যান্ড প্যাচ অ্যান্টেনা ৷

সেরা এই প্রজেক্টটির পরিচালনায় ছিলেন বাংলাদেশী বংশদ্ভূত মালয়শিয়ার অন্যতম শীর্ষ গবেষক এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম যিনি বর্তমানে ইউকেএম এর ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এবং সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন ৷ একই সাথে তিনি জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কর্মরত আছেন। সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, তিনি বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীদের একজন ।

অধ্যাপক তারিকুল ইসলামের অর্জনের ঝুলিতে আরো রয়েছে প্রায় ৬০০টি গবেষণা প্রবন্ধ, ২৫০ কনফারেন্স আর্টিকেল, গবেষণামূলক বই, যাতে অ্যান্টেনা, মেটাম্যাটেরিয়াল এবং মাইক্রোওয়েভ ইমেজিং এর মতো বিষয় গুলো  নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button