প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে গাজীপুর থেকে উত্তরাঞ্চলগামী ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। দিন যতোই এগিয়ে আসবে, ততই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকবে মহাসড়কে।
গাজীপুরের এ দুই মহাসড়কে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়ক দুটিতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট। অনেকটা স্বস্তি নিয়েই বাড়ি যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।
পরিবহন মালিক ও শিল্প কারখানা সূত্রে জানা গেছে, এবার তিন পর্বে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হবে। মঙ্গলবার ১০ ভাগ কারখানা ছুটি হয়েছে। আজ বুধবার ৪০ ভাগ ছুটি হবে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৫০ ভাগ কারখানায় ঈদের ছুটি শুরু হবে। মূলত আজ বিকেল থেকেই দুই মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। কারখানা ছুটি হলে একসঙ্গে হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ মহাসড়কের নেমে আসবে। ফলে সড়কে যাত্রীর চাপের পাশাপাশি যানবাহনের সংকট ও যানজটের শঙ্কা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন লাখ লাখ কর্মী। এরইমধ্যে অনেক কলকারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে শুরু হয়ে গেছে ঈদযাত্রা। রাজধানীর প্রবেশমুখ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, ভোগড়া বাইপাস মোড়ে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে আছেন। তবে কোথাও কোনো যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে আগের থেকে কয়েকগুণ যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তাদের প্রত্যেকের হাতেই একাধিক ব্যাগ। কারো কারো মাথায় বস্তা। লম্বা ছুটি পাওয়ায় পরিবার-পরিজনকে অনেকেই আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সাধারণ সময়ে পরিবহনের ভাড়ার থেকে কিছুটা বেশি ভাড়া আদায় করতে দেখা যায় পরিবহনগুলোতে। ঘরমুখো মানুষ দর কষাকষি করে পরিবহনে উঠে বাড়ি ফিরছেন।
নেত্রকোনাগামী যাত্রী শামীম হোসেন বলেন, আরও এক সপ্তাহ আগে পরিবারের অন্য সদস্যদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। সকালে বেতন পাওয়ার পর আজ আমি বাড়ি যাচ্ছি। তবে বাসের ভাড়া আগের চাইতে বেশি চাচ্ছে।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় যানজটকে মাথায় রেখে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ এবং আগামী দুই দিন যাত্রীর চাপ বাড়বে। আশা করি যানজটমুক্ত পরিবেশে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।