শিক্ষা

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চীনা ভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপন

Press Release: BRAC University celebrates ‘Chinese Language Day 2025’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চীনা ভাষা দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২২ এপ্রিল ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী ‘জিরো ডিসট্যান্স টু চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাংগুয়েজেস, আর এতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস।

চীনা ভাষা জাতিসংঘের ছয়টি অফিসিয়াল ভাষার একটি। বহুভাষিকতা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতা তুলে ধরতে ছয়টি ভিন্ন দিনে জাতিসংঘ এই ছয়টি ভাষা দিবস উদযাপন করে থাকে। ২০শে এপ্রিল চীনা ভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাও ফেং। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘চীনা ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এই ভাষার প্রতিটি অক্ষর সভ্যতার বাহক।” তিনি আরো বলেন “প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং দীর্ঘদিন ধরে একটি উন্নত বিশ্ব নির্মাণে সভ্যতাগুলোর মধ্যে সংলাপের গুরুত্বে জোর দিয়ে আসছেন। ভাষা ও সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত হবে। আমি মনে করি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এই দুটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে দৃঢ় করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মের ভূমিকা পালন করতে পারে। ” সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের চীন সফর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বছরে চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের মাধ্যমে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। পাশাপাশি এবারের সফরে দুই দেশের সংস্কৃতি ও শিক্ষায় নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।”

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজেস এর প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ বলেন, “বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সহায়তায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক বিনিময় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক ইয়াং হুই, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক মা শিয়াওওয়ান, এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর চীনের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।  দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল চাইনিজ ভাষা শেখা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে উচ্চশিক্ষার বৃত্তির বিভিন্ন সুযোগ তুলে ধরা হয়। সেই সাথে ঐতিহ্যবাহী চীনা লায়ন ড্যান্স, সঙ্গীত, প্রাচীন নৃত্য এবং সিচুয়ান অপেরা পরিবেশনা উপভোগ করেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button