বিদেশ
মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি কর্মী নিয়োগ, গ্রেফতার ৯০০ নিয়োগকর্তা
মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেয়ায় ৯০০ নিয়োগকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ আগষ্ট পর্যন্ত ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেআইএম) মোট ১১,৯০৩টি অভিযান পরিচালনা করেছে।ইমিগ্রেশন-এর মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, নিয়োগকর্তারা অবৈধ অভিবাসী কর্মী নিয়োগে শীর্ষে আছে। একজন মালয়েশিয়ান অবৈধ বিদেশি কর্মীকে নিয়োগ করতে পারে না। তাদের উচিৎ বৈধ কর্মী নিয়োগ করা যাদের অনুকূলে ইমিগ্রেশনের অনুমতি আছে কিন্তু তারা অবৈধ বিদেশী কর্মীদের নিয়োগ করে। ফলে আমরা ৯০০ জন নিয়োগকর্তা শাস্তির আওতায় এনেছি।” তিনি বলেন এই সময়ের মধ্যে পরিচালিত অভিযানে মোট ১০৬,৪৩২টি পরিদর্শন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন অপরাধে মোট ২৯,০৩০ জনকে গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
” জানুয়ারি থেকে আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে, ইমিগ্রেশন অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ এবং অবৈধ বিদেশীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ৯০০ জন মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তাকেও গ্রেপ্তার ও শাস্তি দিয়েছে।
সোমবার ১৯ আগষ্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশন বিভাগের মূল ফোকাস হল নিয়োগকর্তাকে চিহ্নিত করা যারা এ দুটি অপরাধ করেছে, তারপর নিষ্পত্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।”
তিনি বলেন, ” এত অবৈধ অভিবাসী কর্মীদেরকে যারা আশ্রয় ও কাজ দিচ্ছে তারা আমাদের জনগণ এবং নিয়োগকর্তা। তারা যদি তাদের আশ্রয় ও কাজ না দিত তাহলে তাদের খুঁজে পেতাম না।”
রাসলিন বলেন, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের ডাম্পিং করছে নিয়োগকর্তা নিজেই এবং নিজ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ করেন।
তিনি জোর দিয়েছিলেন যে নিয়োগকর্তা যদি অবৈধ অভিবাসীকে কর্মচারী হিসাবে নিয়োগ করতে আগ্রহী না হন তবে অবৈধ বিদেশীদের ডাম্পিং সমস্যাটি কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
তিনি বলেন , ” আমি অনেক অভিযোগ পেয়েছি যে, কেন অনেক বিদেশি কর্মী রেস্তোরাঁয় কাজ করছে? যখন আমরা অপারেশন পরিচালনা করি তাদের কোন বৈধ কাগজ থাকে না, নিয়োগ কর্তা দায়িত্ব নিয়েছে। যদি অবৈধ অভিবাসী কর্মী নিয়োগ না করে তাহলে এর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। “ উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে কোথাও অবৈধ অভিবাসী অবস্থান বা কাজ করলে সে সম্পর্কে তথ্য দেবার জন্য নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
মহাপরিচালক বলেন, “অবৈধ অভিবাসী কর্মী নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়া নিয়োগকর্তাদের বড় ভুল এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কারণ ইমিগ্রেশন বিভাগ এই বিষয়ে মোটেই আপস করবে না।”
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে কার্যকর ব্যবস্থা নিবে বলে প্রবাসীরা আশা করছেন।



