পর্তুগালের পর্যটন, বন্দর ও বানিজ্যিক নগরী পোর্তোতে পর্তুগীজ ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু হয়েছে। ১৫০ ঘন্টার দুমাসের লেভেল এ১ এবং এ২ মানের এই কোর্সটি পর্তুগালের নাগরিকত্ব আবেদনে প্রযোজ্য ও অপরিহার্য।
পর্তুগাল মাল্টিকালচ্যারাল একাডেমির মাধ্যমে সরকার অনুমোদিত এই কোর্স লিসবনের পাশাপাশি এখন থেকে পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী পোর্তোতে শুরু হয়েছে সকাল এবং সন্ধার সময়ে।
এখন সহজেই সুবিধাজনক সময়ে ইংলিশ টু পর্তুগীজে এই ভাষা শিক্ষা কোর্সটি সম্পূর্ণ করতে পারছেন বাংলাদেশী অভিবাসী সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীগন।
২০১৮ সালে বাংলাদেশী তরুণদের উদ্যোগে, সুপরিসর ক্যাম্পাস নিয়ে লিসবনে গড়ে উঠে “পর্তুগাল মাল্টিকালচ্যারাল একাডেমি”। যেখানে মাত্র দুই মাসের পর্তুগিজ কোর্স সম্পূর্ণ করে সহজে অর্জন করতে পারে পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা সার্টিফিকেট লেভেল এ১ এবং এ২ যা ভাষা দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি পর্তুগিজ নাগরিকত্ব আবেদনে অপরিহার্য।
পর্তুগাল ৫ বছর বৈধভাবে বসবাসে নাগরিকত্ব আবেদন করা যায়। নাগরিকত্ব আবেদনের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে পর্তুগিজ ভাষা দক্ষতার প্রমান বা সার্টিফিকেট প্রদান। যা আগে অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার ছিল। কেননা বছরে মাত্র ২/১ টি কোর্স চালু হতো সরকারি উদ্যোগে। আর এই কোর্সের জন্য মানুষকে অপেক্ষা করতে হতো বছরের পর বছর।
অনেকেই আছেন নাগরিকত্ব আবেদনের সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও এই সার্টিফিকেট না থাকার ফলে নাগরিকত্ব আবেদন করতে পারছিলেন না। বাংলাদেশী কমিউনিটি এদেশে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছে। দীর্ঘ দিন ধরে অত্যন্ত সুনামের সাথে এদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যবসা বানিজ্যে প্রসার ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।
তথ্য মতে পর্তুগালে বর্তমানে ১৩৭ টির ও বেশী দেশের অভিবাসী বসবার করছে। পর্তুগিজ সরকার অনুমোদিত ভাষা শিক্ষার এই কোর্সটি যেকোন দেশের অভিবাসী দিনের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সম্পূর্ণ করতে পারে। ফলে পর্তুগালে অবস্থান রত বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের কাছে বাংলাদেশীদের এখন ভিন্ন পরিচয় বহন করে।
মাল্টিকালচ্যারাল একাডেমির একজন পর্তুগিজ শিক্ষিকা তেরেসা’র সাথে আলাপকালে উঠে আসে নানান খুঁটি নাটি বিষয়। অভিবাসী হিসেবে সেই দেশের ভাষা শিক্ষার গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ভাল ভাষা আয়ত্ত থাকলে কাজের ব্যবস্থাসহ ভিন্ন দেশে বা পরিবেশে সহজে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।