প্রবাস
মিসরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
মুজিবনগর সরকার ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার আহ্বানে যথাযোগ্য মর্যাদায় মিসররের রাজধানী কায়রোতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মুজিবনগর দিবস উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার ছুটির দিন থাকায় রবিবার দুতাবাস হল রুমে মোহাম্মদ ফেরদাউস এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের প্রয়াত সব সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দুতাবাসের দুতালয় প্রধান জনাব মোহাম্মাদ ইসমাঈল হোসাইন, তৃতীয় সচিব জনাব মোহাম্মাদ আতাউল হক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় মুজিবনগর সরকারের ওপর একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মিসরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম। তিনি মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য এবং কীভাবে অস্থায়ী এ রাজধানী বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিবনগর হিসেবে নামকরণ করা হয় সে ইতিহাস তুলে ধরেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনার পরে ২৬ মার্চ জাতির জনক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জাতির জনকের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের কোনো বিকল্প ছিল না।