দেশহাইলাইটস

শিক্ষার্থীরা চাকুরি খুঁজবেন না উদ্যোক্তা হবেন: দীপু মনি

শিক্ষার্থীরা চাকুরি খুঁজবেন না উদ্যোক্তা হবেন - শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি Inboxশিক্ষামন্ত্রী ডাঃ.দীপু মনি বলেছেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা হবেন, শুধু চাকুরি খুজবে না। আমরা তাদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিবো তাদের উদ্যোক্তা হতে শেখাবো। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও চান আমাদের ছেলে মেয়েরা উদ্যোক্তা হবে, নতুন নতুন কাজ তৈরী করবে। নিজেরা অন্য আরও দশজনকে চাকুরী দিবে। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামে দেলোয়ার- শেলী দম্পত্তির মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স ফুল সবজির বাগান পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। চলতি সপ্তাহ থেকে এ বাগানে টিউলিপ ফুল ফুটা শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আামাদের দেশে টিউলিপ এতোদিন অধরা ছিল অনেকে চেষ্টা করে ও টিউলিপ ফুল ফুটাতে পারেনি। কিন্তু সেই অসাধ্য কাজটি সাধ্যের মধ্যে নিয়ে এসেছেন গাজীপুরের দেলোয়ার ও সেলিনা দম্পতি। তার এই সফলতা দেখতেই মূলত এ বাগানে ছুটে আসা। দেলোয়ার হোসেন আধুনিক পদ্ধতিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফুল, ফল ও সবজির চাষ করছেন ও চারা উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন। ইতিমধ্যে এধরনের ফুল ও সবজি চাষে ৩০০জন উদ্যোক্তা তৈরী করে দিয়েছেন। অনেককে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। আমাদের দেশে এমনিতেই মাটি এত উর্বর যে এতে উৎপাদিত সবজি ইতিমধ্যেই বিদেশে রপ্তারী হচ্ছে। আর ফুল চাষ করে তার বাজারজাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দম্পতি যেভাবে উদ্যোক্তা তৈরী করে দিচ্ছেন আমি বিশ্বাস করি যে, সরকারী আরও সহযোগিতা পেলে নিশ্চয়ই ওনারা এটাকে বিশাল আকারে নিয়ে যেতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার সবসময়ই উদ্যোক্তাদের পাশে আছে। কেউ নতুন কিছু করতে চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের সহায়তা দেন, উৎসাহ দেন। দেশে এভাবে ফুল চাষ হলে আমরাও সবজির পাশাপাশি ফুলও রপ্তানি করতে পারবো ইনশাল্লাহ্।

দেলোয়ার হোসেন প্রায় ৮ একর জমিতে কালার ক্যাপসিকাম, গ্রীণ ক্যাপসিকাম, টিউলিপ ফুল, ওরিয়েন্টাল লিলি, ডাচ গোলাপ, দেশী গোলাপ, স্ট্রবেরী, জি-৯ কলাসহ বিভিন্ন ফুল ফলের চাষ ও সম্প্রসারনে কাজ করে যাচ্ছেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীতকালীন দেশে মূলত টিউলিপের চাষ হলেও এশিয়ার ভারত ও আফগানিস্তানে টিউলিপের দেখা মেলে। আমাদের দেশে টিউলিপ ছিল অসাধ্য কাজ। অনেকটা শখের বশে গত বছর নেদারল্যান্ড থেকে দশ হাজার বাল্ব এনে রোপন করার পর তিনি ফুলের দেখা পান। যা সারা দেশে জুড়েই আলোড়ন তুলে। গত বছরের মতো এবারও নেদারল্যান্ডস থেকে এক প্রজাতির চার রঙের বিশ হাজার টিউলিপ বাল্ব এনে তিনটি বাগানে রোপণ করি গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। গাজীপুরে সফল হওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানে সম্ভাবতা ঝাচাইয়ের জন্য চুয়াডাঙ্গায় তিন হাজার ও ঠাকুরগাঁওয়ে সাড়ে তিন হাজার বাল্ব রোপন করা হয়। বাকী সাড়ে তের হাজার বাল্ব তার গাজীপুরের মৌমিতা ফ্লাওয়ার বাগানে রোপন করা হয়। এ কয়েকদিন পরিচর্যা শেষে চলতি সপ্তাহর প্রথম থেকেই থেকেই গাজীপুরে টিউলিপ ফুল ফোটা শুরু হয়। যদিও অন্য দুটি স্থানে এখনও ফুল ফুঁটেনি। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ২০-২২ দিনেই ফুটে টিউলিপ ফুল। তিনি আরো বলেন, টিউলিপ ফুল ফুটেেত সাধারনত ১১ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় বিধায় শীত এলাকাগুলোর সম্ভাব্যতা ঝাচাইয়ের জন্য ঠাকুরগাঁও ও চুয়াডাঙ্গায় তিনি পরীক্ষামূূলক বাগান করেছেন।

গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মাহবুব আলম বলেন, বর্তমানে উচ্চমূল্যে টিউলিপ ফুল আমদানি করে আমাদের দেশের চাহিদা মেটাতে হয়। সফল ফুল চাষি দেলোয়ারের বাগানে গত বছরের মতো এবারও টিউলিপ ফুল ফোটায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। টিউলিপ ফুল চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি অর্থনীতিতে দারুণ ছোঁয়া লাগবে।

 

 

সম্পাদনা
ফয়সাল আহমেদ

এমন আরো সংবাদ

Back to top button