মুঠোফোনে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে
মুঠোফোনে পরিচয় থেকে প্রেম। এরপর সেই প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় এসে এক তরুণী (২০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম গোলাম রসুল বলেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ওই তরুণীর সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে মুঠোফোনে পরিচয় হয় বিরলের পিনাক নামের এক তরুণের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই তরুণের সঙ্গে দেখা করার জন্য পাঁচবিবি থেকে বিরলের মঙ্গপুর বাজারে আসেন ওই তরুণী। সেখানে পিনাকের খোঁজ করতে থাকেন তিনি। খোঁজ করতে করতে রাত হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় মজিবর নামের এক ব্যক্তি তরুণীকে জানান—তিনি পিনাককে চেনেন। পিনাকের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন মজিবর। একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে মজিবর ওই তরুণীকে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। সেখানে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। পরে তরুণীকে বাজারের অদূরে গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে রেখে আসেন। সেখানেও মিজানসহ কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তরুণীকে ভ্যানগাড়ি যোগে তাড়িয়ে দেন। সকালের দিকে উপজেলার ধুকুরঝাড়ী বাজারে বিরল থানার পুলিশকে দেখতে পেয়ে তরুণী বিষয়টি জানালে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। ওই তরুণী পুলিশকে বলেন, মজিবর, বেলাল, মিজানসহ কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন।
ওসি বলেন, পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে মিজানকে (৩৪) আটক করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ভ্যানচালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।