জেলার খবর

আদমদীঘিসহ উত্তরাঞ্চলে কনকন করে বাড়ছে শীত

বাড়ছে রোগ বালাই

saআদমদীঘি (বগুড়া): বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলে কনকন করে বাড়ছে শীত। বাড়ছে সর্দি কাশি সহ নানা ধরনের রোগ বালাই। শীত বস্ত্রের দোকানে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ভিড়। কষ্টে দিন কাটচ্ছে ছিন্নমুল মানুষের। গত কয়েকদিন ধরে কনকনে শীতে কাঁপছে পশ্চিম বগুড়া সহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ। শীত নিবারনের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষেরা ভিড় করছে পুরাতন কাপড়ের দোকানে। রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল সহ বস্তি এলাকার মানুষ অতি কষ্টে দিন পার করছে। আদমদীঘিতে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরন করলেও তা প্রয়োজনীয় তুলনায় খুবই কম। এলাকার কোন বিত্তশালী বা বে-সরকারি ভাবে ছিন্নমুল মানুষের মধ্যে কোন শীতবস্ত্র বিতরনের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।

সান্তাহার রেল স্টেশনে এই প্রতিনিধির সাথে কথা হয় এক ছিন্নমুল সত্তরোর্ধ ভিক্ষুক আব্বাস উদ্দিনের সাথে। সে দিনের বেলা ভিক্ষা বৃত্তি করে রাত কাটায় সান্তাহার স্টেশনের প্লাটফর্মে। সে বলে আল্লাহ ছাড়া দুনিয়াতে মোর কেহ নাই বারে। দিনতো ভালোই কাটে, রাত আইলেই মোর শরীরে শুরু হয় কাঁপুনি। গেলবার এক সাহেব একখানা কম্বল মোক দিছিল। শীত চলি যাওনের পর থওনের যাইগা পাইনি। পরে হেইডা বেইচ্যা একখান লুঙ্গি কিনছিনু। এবার এহনও কোন সাহেব আহেনি। অপরদিকে এই কনকনে শীত নিবারনের জন্য এলাকার বিত্তশালীরা মার্কেটের বড় বড় শীত বস্ত্রের দোকানে এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন পুরাতন মার্কেটের বিদেশী পুরাতন কাপড়ের দোকানে শীত বস্ত্র কিনছে। প্রচন্ড কনকনে শীতে সর্দি, জ্বর, শ্বাস কষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগ সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ দিকে গত বছর আলুর উৎপাদন ভালো না হওয়ায় সারা বছরই বাজারে আলুর দাম ছিল চড়া। চলতি মৌসুমে উত্তরের অন্যান্য জেলার মতো আদমদীঘি উপজেলার চাষিরাও আগাম জাতের আমন ধান কেটে শুরু করে আলুর চাষ। অল্প দিনের মধ্যেই সবুজে ভরে উঠে আলু ক্ষেত। চাষিরাও বুক বাধে বাম্পার ফলনের আশায়। আদমদীঘি উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫শ’ হেক্টর বেশী। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫০ হাজার টন বেশী। এবার ১৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

সম্পাদনা
সাগর খান

এমন আরো সংবাদ

Back to top button