পাঁচ খাবার খান, চুল পড়া কমান
ঘুম থেকে ওঠার পর বালিশে কি আপনি রোজ ঝরে পড়া চুল প্রত্যক্ষ করেন? বলা হয়ে থাকে, প্রতিদিন প্রত্যেকের প্রায় ১০০ করে চুল পড়ে। তবে চুল পড়ার নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে। সচেতনতা আর ডায়েট ঠিক থাকলে, চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ও জীবনধারাবিষয়ক সাময়িকী ফেমিনার এক প্রতিবেদনে চুল পড়া রোধে পাঁচ খাবার ডায়েটে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আসুন, সেসব খাবার সম্পর্কে জেনে নিই—
বাদাম
বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে আখরোট ও কাজুবাদামে। বিশেষ করে বায়োটিন, ভিটামিন বি, ওমেগা থ্রি ও সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা চুলকে মজবুত করে এবং মাথার ত্বকের যত্ন নেয়। ডায়েটে যদি আপনি বাদাম রাখেন, তাহলে চুল পাতলা হওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
কুইনোয়া
অনেকের বিশ্বাস, কুইনোয়া শস্য নয়, বীজ। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, যা চুলকে মজবুত ও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। এই সুপারফুড চুল ও মাথার ত্বকের সমানভাবে যত্ন নেয়। এতে থাকা হাইড্রোলাইসড প্রোটিন চুল ফাটা রোধে সাহায্য করে এবং এর ভিটামিন ই চুল পড়া কমায়।
ডিম ও দুগ্ধজাতীয় খাবার
এ জাতীয় খাবার চুলের বৃদ্ধি ও ঘনত্বে সহায়ক। দই, দুধ ও ডিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যেমন—ভিটামিন বি১২, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন ও জিঙ্ক। শুধু তা-ই নয়, দুগ্ধজাতীয় খাবারে রয়েছে উচ্চমাত্রায় বায়োটিন, যা চুল পড়া রোধে কার্যকর। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব রাখতে পারেন।
পালং শাক
এটি পাতাময় সবজি, যা চুলের স্বাস্থ্যে উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন কে, এ, সি, বি২, বি৬, বি১, ই, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, আয়রন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। পালং শাক চুল ও মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যে উপকারী। চুলের বৃদ্ধিতেও এটি সহায়ক। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। এতে থাকা ভিটামিন বি ও সি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
স্ট্রবেরি
আপনি যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্ট্রবেরি রাখেন, তাহলে চুল পাতলা হওয়া এবং টাক পড়ার হাত থেকে সুরক্ষা দেবে। স্ট্রবেরিতে থাকা এলাজিক অ্যাসিড টাক পড়া রোধে সহায়তা করে এবং চুলকে গভীর থেকে শক্তি জোগায়। ফলে চুল পড়া কমে। এতে আরো রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৬ ও বি৫, যা চুল পড়া রোধে দারুণ কার্যকর।
চুল পড়া রোধে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখুন। তা ছাড়া খাবারগুলো স্বাদেও অনন্য এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। তো, আর দেরি কেন?