কাঁদলে ওজন কমে?
কান্না তীব্র আবেগের প্রাকৃতিক শারীরবৃত্তীয় প্রকাশ। অনেকে খুব সহজেই কাঁদতে পারেন, আবার অনেকে পারেন না। মানুষের বেদনাময় আবেগ-অনুভূতির কারণে মানুষ কাঁদে, যা ‘সাইকিক টিয়ার্স’ বলা হয়। অর্থাৎ কান্না মানুষের মানসিক প্রকাশ।
আর এই সাইকিক টিয়ার্স নিঃসরণের ফলে মস্তিষ্কের সংকেত থেকে শুরু করে হরমোন, এমনকি মেটাবলিক প্রক্রিয়াতেও প্রভাব পড়ে। মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কান্নার কারণে শরীরের ওপর বিস্তৃতভাবে বা দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়ে কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি গবেষকেরা বেশ কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঁদলে কিছু ক্যালোরি পোড়ে, টক্সিন নির্গত হয় এবং হরমোনে ভারসাম্য আনে। এমনকি ওজন কমাতে সাহায্য করে কান্না।
প্রেমপ্রাপ্তি, বিচ্ছেদ, বিষণ্ণতাসহ অনেক কারণেই মানুষ কাঁদে। আপনি যখন তীব্র আবেগ অনুভব করছেন, তখন আপনি ওজন হ্রাস লক্ষ করতে পারেন, যা কান্নার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। কান্নায় কিছু ক্যালোরি পোড়ে।
মনে করা হয়, কাঁদলে প্রতি মিনিটে ১.৩ ক্যালোরি খরচ হয়। হাসলেও একই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয়। তার মানে এই দাঁড়াচ্ছে, ২০ মিনিট কাঁদলে ২৬ ক্যালোরির বেশি খরচ হয়।
কান্নায় বেশি পরিমাণে ক্যালোরি খরচ না হলেও সাইকিক টিয়ার্স নিঃসরণের ফলে অন্যান্য স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। হরমোনের ভারসাম্য আনয়নে সাহায্য করে কান্না এবং মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া ঠিক রেখে ওজন কমতে সাহায্য করে। কান্নার পর মানুষ স্বস্তি পায়। গবেষকদের মত, কান্নার ফলে মানসিক চাপ কমে। কান্নার পর শরীর ও মস্তিষ্ক শান্ত হয়।
দীর্ঘ সময় কান্নার ফলে শরীরে অক্সিটোসিন ও এন্ডরফিনস নামে হরমোন উৎপন্ন হয়। এই প্রাকৃতিক রাসায়নিক মস্তিষ্ককে স্বস্তি ও শূন্যতার অনুভূতি দেয়। এই হরমোনগুলো ভালোবাসা ও আনন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটা শুধু মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয় না, শারীরিক যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দেয়।