খেলাধুলা

আবারো ৪০০ মিটার দৌড়ে সেরা জহির

netশিলং গৌহাটির এসএ গেমসে অ্যাথলেটিক্সে দু’টি ব্রোঞ্জ এসেছিল ১০০ মিটার ও ৪০০ মিটার রিলে থেকে। প্রস্তুতির কমতি থাকলেও নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় প্রত্যাশা ছিল ব্যক্তিগত ইভেন্ট নিয়েও। ৪০০ মিটারে জহির রায়হান ও হাই জাম্পে মাহফুজুর রহমানের দিকে খুব করে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। রৌপ্য জিতে মাহফুজুর প্রত্যাশা মেটালেও ইভেন্টেই অংশ নিতে পারেননি জহির রায়হান। নেপালের অধিক উচ্চতার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে অসুস্থ হওয়ায় ওই ইভেন্টে অংশই নিতে পারেননি জহির। এই আক্ষেপ এখনো পোড়ায় এই স্প্রিন্টারকে। গতকাল জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতে জহির বলেন, আমার যে টাইমিং ছিল সে হিসেবে গত ২০১৯ এসএ গেমসে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে আমার গোল্ড পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে নেপালের অতি উচ্চতায় আমার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ওই ইভেন্টে অংশই নিতে পারিনি। এই আক্ষেপ এখনও আমাকে পোড়ায়। আমি এখন যে টাইমে দৌড়াই, সেই টাইমিং ধরে রাখতে পারলে অনায়াসেই এসএ গেমসে গোল্ড পাবো।

গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে হ্যান্ড টাইমিং ৪৭.২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেন জহির। এই ইভেন্টে একই সংস্থার শেখ আশরাফুজ্জামান রৌপ্য ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মাইনউদ্দিন ব্রোঞ্জ জেতেন। জাতীয় পর্যায়ে হ্যান্ড টাইমিংয়ে এটাই জহিরের ক্যারিয়ারের সেরা টাইমিং। হ্যান্ড টাইমিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা দৌড়িয়ে জহির বলেন, আজকের জয়ের ব্যাপারে চিন্তাধারা ছিল ভালো একটি টাইমিং করার। যেহেতু সামনে অলিম্পিক, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন এই আসরে অংশ নেয়ার। পরবর্তী লক্ষ্যের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট বলেন, আমার পরবর্তী লক্ষ্য বাংলাদেশ গেমসে সোনা জেতা। তবে আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ৪০০ মিটারে এশিয়ান গেমস থেকে একটি পদক জেতা। এজন্য আমাকে ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে দৌড় শেষ করতে হবে। বিদেশে গিয়ে উন্নত ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ পেলে এটা অবশ্যই সম্ভব। এজন্য আমার ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব না।
২০১৭-২১ পর্যন্ত জাতীয় ও সামার মিলে ৪০০ মিটারে এ নিয়ে টানা ও মোট সাতটি স্বর্ণপদক জিতলেন ২০ বছর বয়সী এই ক্রীড়াবিদ।
এছাড়া লং জাম্পে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আল আমিন, ১১০ মিটার হার্ডলসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মির্জা হাসান তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছেন। এটি আল আমিনের ১৪তম ও হাসানের ৭ম স্বর্ণ। দ্বিতীয় দিন শেষে ২৩টি ইভেন্টের মধ্যে নৌবাহিনী ১২টি ও সেনাবাহিনী ৯টি সোনা জিতেছে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button