স্পেওস যাচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশী
স্পেওস ফটোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট বিশ্বের অন্যতম সেরা ফটোগ্রাফি স্কুল। যেখানে আগামী দিনের সেরা ফটোগ্রাফারদের তৈরী হতে সর্বোচ্চ সহায়ক হিসাবে কাজ করে।
এটি ফ্রান্সের প্যারিসে, বিয়ারিৎস (ফ্রান্সের একটি শহর) ও লন্ডনে অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্ত এই স্কুল ৩৫ বছরেই বিশ্বের নামকরা সব মিডিয়া ও ম্যাগাজিনে তাদের ভিত পাকাপোক্ত করেছে তাদের শিক্ষার্থীদের অনন্য সফলতায়। ম্যাগনাম ফটোস, পোলকা, ইনসেপ-এর মতো বাঘা বাঘা টাইকুনদের সঙ্গে এটির রয়েছে সম্মিলিত কোর্সও। যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরই স্পেওস’এ পাড়ি জমাতে চায় নিজেদেরকে ফটোগ্রাফি জগতে প্রতিষ্ঠিত করতে।
বাংলাদেশ থেকে এর আগে কখনোই কেউ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেননি।
গতবছর করোনার সাধারণ ছুটির মাঝামাঝি সময়ে আরাফাত রহমান নতুন একটি ফটোগ্রাফিক আইডিয়া নিয়ে কাজ করেছিলেন যেটা মূলত তাকে এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে অনেকটা সহায়তা করছে।
পুরো পৃথিবী স্থবির থাকলেও সব ধরনের কাজই অনলাইনে করাটা নিউ নরমাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফটোগ্রাফি অনলাইনে করাটা একপ্রকার দূরুহই ছিল বটে। আরাফাত রহমানের আইডিয়া ছিল প্রথমে ছবির সেট তৈরী করে স্কেচ বানানো। তারপর লাইটিং ও ক্যামেরা এঙ্গেলস ঠিক করে মডেলকে পোজ বুঝিয়ে দেয়া।
তারপর মডেল সেই অনুযায়ী ক্যামেরা সেট করে নির্ধারিত পোজে ছবিটি তুলে পুনরায় ফটোগ্রাফারের নিকট ফেরত পাঠাবেন।
তখন ফটোগ্রাফার ছবিটিকে পুনরায় প্রয়োজনীয় এডিট করে সেটাকে সোশ্যাল মিডিয়া বা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে আপ্লোড করবেন।
আরাফাত রহমান একটি সিরিজ তৈরী করেছিলেন ‘লকডাউন ডেইজ’ শিরোনামে। যে সিরিজে তিনি পাঁচটি দেশের পাঁচজন মডেলের সাথে এই অনলাইন ফটোশ্যুট করেছিলেন।
তিনি মূলত ‘কনসেপচুয়াল ফটোগ্রাফি’ নিয়ে কাজ করেন এবং ভবিষ্যতে ফটোগ্রাফির সাহায্য সমাজের অসংগতি ও গোঁড়ামী দূর করতে চান।
তিনটি ধাপ পেরিয়ে তাকে স্পেওস’এ জায়গা করে নিতে হয়েছে। প্রথমে তিনি অফিসিয়ালি সিলেক্টেড হয়েছেন তার পোর্টফলিও এবং ভিশন উপস্থাপনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি অনলাইনে একটি ভাইভার মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং ফ্রান্সের একজন কালচারাল এম্বাসডর তার সাথে ভার্চুয়ালী সাক্ষাৎ করেন।
এই ‘ইন্টেন্সিভ প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফি’ কোর্সের সময়কাল নয়মাস যেটি আগামী ১৮ই জানুয়ারী থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
আরাফাত রহমান বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের একজন শিক্ষার্থী।