নিউইয়র্কে করোনায় বাবা-ছেলের ইন্তেকাল
নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সহ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংশ্লিস্টদের মতে করোনার প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে দ্বিতীয় ঢেউ। দৃশ্যত: ঘরে ঘরে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। সূত্র মতে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে প্রতি ৩৩ সেকেন্ডে একজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত আর মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। নিউইয়র্কে মাত্র ৩ ঘন্টার ব্যাবধানের্ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশী বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রামের হালিশহর এ ব্লক ৮ নং লেনের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সন্দ্বীপের বাউরিয়া কাছিম মাঝির বাড়ি নিবাসী, কমিউনিটির পরিচিত মুখ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান এবং তার একমাত্র ছেলে আবুল বাশার পান্না সিপিএম করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়ে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন। পিতা-পুত্র দু’জনেই তিন সপ্তাহধিক ধরে করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারা নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে বসবাস করতেন। বাবা-ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আবুল বাশার পান্না মৃত্যুকালে স্ত্রী এবং তিন কন্যা রেখে যান বলে জানা যায়। তার পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত এবং বর্তমানে বাসায় চিকিৎসাধীন বলে স্থানীয়রা জানান।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান ও আবুল বাশার পান্না সিপিএ তাদের পরিবার নিয়ে সম্প্রতি থ্যাংকস গিভিং ডে পালন করতে নিকটাত্মীয়ের বাসায় যান। সেখানেই তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন বলে একটি সূত্র জানায়। তবে তাদেও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বর্তমানে অনেকটা সুস্থ্য থাকলেও দীর্ঘ ২৫ দিন করোনার সাথে যুদ্ধ করে পিতা-পুত্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মরহুম পিতা মোহাম্মদ খাইরুজ্জামান ও পুত্র আবুল বাশার পান্না’র নামাজে জানাজা রোববার সকালে ব্রুকলীনের মসজিদ ইমামুল বুখারী-তে অনুষ্ঠিত হয় এবং তাদের মরদেহ যুক্তরাষ্ট্রেই দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রামে সন্দ্বীপ উপজেলার পিতা-পুত্রের ইন্তেকালে চট্টগ্রাম সমিতি ইউএসএ ও সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএ’র নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে তাদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করেছেন।