
নিউইয়র্ক: বিভক্ত ফোবানা (ফেডারেশন অব বাংলাদেশীস অর্গানাইজেশন ইন নর্থ আমেরিকা) ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। চলছে ঐক্য প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যৌথ সভা হয়েছে বিভক্ত দুই কমিটির। গত ২১ নভেম্বর শনিবার ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির একাংশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান এবং ফোবানার অপরাংশের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান শাহ হালিম-এর নেতৃত্বে ভর্চ্যুয়াল যৌথসভা হয়েছে। সভায় বিভক্তমান ফোবানার পুন:একত্রীকরণের প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়ে ঐক্যমত সহ এবিষয়ে গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি ফোবানার সাথে সংশ্লিস্ট সকলের মধ্যে পারস্পরিক সুন্দর ঐক্যের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধাচারণ করা থেকে বিরত থাকবেন এবং যে কোন পরিস্থিতিতে কেউ কারো বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না বলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফোবানার যৌথ সভার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে: দীর্ঘদিনের বিভক্তমান ফোবানাকে পুন:একত্রীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্দেশ্যে গত ২১ নভেম্বর, শনিবার দুই ফোবানার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি বিশেষ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও আন্তরিকতার সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ও ফোবানাকে পুন:একত্রীকরণের অঙ্গীকার নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয় এই বিশেষ যৌথ সভা। এই যৌথ সভা পরিচালনা করেন ফোবানার এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান শাহ হালিম এবং ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলে আসা বিভক্তি-বিভাজনের পর এই ঐতিহাসিক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। দুই পক্ষের নেতৃবৃন্দ এই বিভাজনের ইতি টেনে নতুন করে ঐক্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক উৎসাহ ও গভীর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সবাই। ভবিষ্যতে দুই ফোবানাকে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যাক্ত ব্যক্ত করা হয় এই সভায়। উল্লেখ্য, ফোবানা ১৯৯৪ সালে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরে ছিল। পরে ১৯৯৭ সালে সকলের সহযোগিতায় এই বিভক্তমান ফোবানা একত্রিত হয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তা আবার বিভক্ত হয়ে পরে। বিভক্তির এই জের চলে আসছে সুদীর্ঘ সময় ধরে এবং ফোবানার প্রাক্তন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ ফোবানার পুন:একত্রীকরণের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব আজ গভীরভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন।
দুই ফোবানার নেতৃবৃন্দ উত্তর আমেরিকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৃহত্তর সামাজিক কল্যাণ সাধনের জন্য ফোবানাকে পুন:একত্রীকরণের বিষয়ে একমত ও অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। একত্রীকরণ প্রক্রিয়ার কাজ যথাসম্ভব দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে দুই পক্ষই একমত প্রকাশ করেছেন। দুই পক্ষের নেতৃবৃন্দ ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে এই ঘোষণা প্রদান করেন যে, পারস্পরিক একটি সুন্দর ঐক্যের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধাচারণ করা থেকে বিরত থাকবেন এবং যে কোন পরিস্থিতিতে কেউ কারো বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না।
দুই পক্ষ থেকে যেসব নেতৃবৃন্দ এই ঐতিহাসিক সভায় অংশগ্রহন করেন তারা হলেন: ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ইমাম সিকদার, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ইউসুফজাই, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান এজাজ আখতার তৌফিক, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান আবু জোবায়ের দারা, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান আবু লিয়াকত হোসেন, সদস্য এবং সাবেক মেম্বার সেক্রেটারী ডা. মাসুদুর রহমান খন্দকার, সদস্য এবং সাবেক কনভেনর গিয়াস আহমেদ, সদস্য ড. ইবরুল চৌধুরী।
এছাড়া ফোবানা এক্সিকিউটিভ কমিটির পক্ষ থেকে যেসব নেতৃবৃন্দ এই সভায় অংশগ্রহন করেন তারা হলেন: ফোবানা এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান শাহ হালিম, সাবেক চেয়ারম্যান এবং একত্রীকরণ কমিটির কো-চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা, সাবেক চেয়ারম্যান এবং একত্রীকরণ কমিটির কো-চেয়ারম্যান রেহান রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারী ড. আহসান চৌধুরী হিরো, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান ডিউক খান, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, সদস্য এবং সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব রেজা রহিম।
সভায় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেছেন জয়েট এক্সেকিউটিভ সেক্রেটারী ড. রফিক খান এবং সাবেক মেম্বার সেক্রেটারী ফিরোজ আহমেদ।