নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিচ্ছেন যারা
নারী উদ্যোক্তাদের সম্মান জানাতে এবং অনুপ্রাণিত করতে পালিত হয় নারী উদ্যোক্তা দিবস। প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিকে গতিময় করতে কাজ করে যাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তা হিসেবে অর্থনীতিতে নারীর প্রবেশ যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে, তেমনি ছড়িয়ে দিচ্ছে নারীর ক্ষমতায়নের দৃষ্টান্ত। প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছেন আছিয়া খালেদা নীলা। কম্পিউটার প্রকৌশলী নীলা উইমেন ইন ডিজিটালের প্রতিষ্ঠাতা। নীলা বলেন, কোভিড -১৯ মহামারির জন্য বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারক এবং উদ্ভাবকরাও চাপে পড়েছেন। এখনকার বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি উদ্ভাবক এবং ডিজিটাল প্রকল্পগুলোর সঙ্গে স্টার্টআপগুলোতে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো। নীলা বিশ্বাস করেন, দেশের উন্নতি করতে হলে প্রথমে গ্রামের নারীদের রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে।
আমাদের দেশে করোনা মহামারির শুরু থেকে অনেক বেশি নারী সম্পৃক্ত হয়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোগ নিয়ে। আর দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ উই (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম)। (উই) গ্রুপের কল্যাণে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে হাজারো নারী। উইএর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, ফেসবুক ভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্ম উই এখন দশ লাখ সদস্যের পরিবার। যাদের প্রায় সবাই দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা। নিজেদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হয়। ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হতে নারীরা আরও বেশি করে এগিয়ে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শুধু জাতীয় ক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও সুনাম অর্জন করেছেন এমন সফল ধ্রুপদী নারী উদ্যোক্তাও রয়েছেন আমাদের দেশে। বিবি রাসেল তাদের মধ্যে একজন। বাংলাদেশের প্রথম সুপার মডেল ছিলেন তিনি। মডেলিং ছেড়ে এসেছেন উদ্যোক্তা পেশায়। বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ ‘বিবি প্রোডাকশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের পোশাককে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি এনে দিয়েছেন। দেশীয় তাঁত পণ্যকে দেশে এবং দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব ফ্যাশন দরবারে তুলে ধরেছেন। এদেশের সুবিধা বঞ্চিত নারীদের কথাও ভাবেন তিনি। তাদের অনেককেই কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন বিবি রাসেল। বিবি রাসেল বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারীরা সফল হলেই বাংলাদেশ সফল হবে।