জেলার খবরহাইলাইটস

আর্থিক সহায়তা পেল ফুলবাড়ীর সেই পাঁচ প্রতিবন্ধী ভাইবোন

 valo sangbad, ভালো সংবাদ,  valosangbad, ভালোসংবাদ অবশেষে ফুলবাড়ীর সেই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী পরিবারকে সাহয্যের জন্য এগিয়ে এলেন পিপিএস প্লাষ্টিক পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস শাইলা সারমিন। গতকাল রবিবার দুপুর ২টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরএলাকার পূর্ব কাঁটাবাড়ী গ্রামে উপস্থিত হয়ে পাঁচ প্রতিবন্ধী ভাইবোনের পরিবারটির হাতে নগদ এক লাখ টাকা সহায়তা প্রদানসহ তাদের বাড়ী নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মিসেস শাইলা সারমিন।
জানা যায়, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরএলাকা পূর্ব কাঁটাবাড়ী গ্রামের পাঁচ প্রতিবন্ধী ভাইবোনের পরিবারের দুর্ভিষহ জীবনযাপনের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
সংবাদটি প্রচারের পর ঢাকার শিল্পপতি পিপিএস প্লাষ্টিক পাইপ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস শাইলা সারমিননের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের খোঁজ নিয়ে রবিবার দুপুর ২টায় ফুলবাড়ী পৌরশহরের কাঁটাবাড়ী গ্রামের ওই প্রতিবন্ধীর জরজীর্ণ বাড়িতে আসেন। প্রতিবন্ধী পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তাদেরকে নগদ এক লাখ টাকা প্রদানসহ বাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজ, পিপিএস প্লাষ্টিক পাইপ ইন্ডাট্রিজ লিমিটেডের সাকলায়েন, মাজেদ জাহাঙ্গীর আলম, সাদিদ মামমুদ, সাবিহা সুলতানা, রাজেকুল হাসান, মোস্তফা জামান প্রমুখ। শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, দুলাল চন্দ্র রায় (৬৫), মাধব চন্দ্র রায় (৬৩), কানাই চন্দ্র রায় (৬০), গোপাল চন্দ্র রায় (৫৮), শেফালী রানী রায়, (৫৫), বলাই চন্দ্র রায় (৫৩) এবং জ্যোৎস্না রানী রায় (৫০)। সাত ভাইবোন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে বলাই চন্দ্র রায় শারিরীক ও মানসিকাভাবে ভালো থাকায় অন্যখানে নিজ সংসার করেন এবং চলতি বছরের ৩১ জুলাই মাটির ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে মারা যান শারীরিক প্রতিবন্ধী জ্যোৎস্না রানী। বর্তমানে তাঁর পরিবারে চারজন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এবং একজন হৃদরোগী ভাইবোন নিয়েই সংসার। তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র দুলাল চন্দ্র রায় পান বয়স্কভাতার কার্ড। ৭ শতক জমিতে রয়েছে ভাঙা মাটি ও টিনের জরাজীর্ণ ঘর। প্রথমে ঘরটি দেখে গোয়াল ঘর মনে হলেও কাছে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কয়েকজন বসে আছেন। দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে কোন মানুষের বসবাস রয়েছে। ওই ভাঙা মাটির ঘরে রয়েছেন মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই ভাইবোনগুলো। আঙিনায় রয়েছে দুটো গরু বাঁধা। খোলা আকাশের নিচে শাক-পাতা রান্না করছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী শেফালী রানী রায়, গরুগুলো খাবার দিচ্ছেন হৃদরোগী কানাই চন্দ্র রায়। দুর্বিষহ জীবনের চিত্র দেখা যায় সেখানে।

সম্পাদনা
ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স

এমন আরো সংবাদ

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker