জেলার খবর
স্কুল ছাত্রীকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় আমৃত্যু কারাদন্ড

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আব্দুল হাই আকন্দের কন্যা এবং শৌলমারী এমআর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরজিনা খাতুনকে দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দেয়াসহ নানা ভাবে উত্যক্ত করে আসছিল পার্শ্ববর্তী চ্যাংটাপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের বখাটে পুত্র আইয়ুব আলী (২০)। এ নিয়ে আইযুব আলীর পরিবারের কাছে বিচার দিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ২০১৫ সালে এসএসসি পাশ করার পরপর আরজিনা খাতুনের অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা শুরু করে তার পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আইয়ুব আলী। এরপর এরই জের ধরে আইয়ুব আলী ও তার সঙ্গী আনোয়ারুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন মিলে ২০১৫ সালের ১৪ জুন সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রান্না ঘরে জবাই করে হত্যা করে আরজিনা খাতুনকে।
ঘটনার দিন বিকেলে নিহত আরজিনা খাতুনের মা সাজেদা বেগম (৫৯) বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আনোয়ারুল ইসলামসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরমধ্যে ২০১৫ সালের ১৭ জুন তারিখে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া মামলায় ৩৫ জন সাক্ষির মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মুহাঃ ফখরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন ও আলতাফ হোসেন মামলা পরিচালনা করেন। রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এ ধরণের দন্ডাদেশ প্রদানের ঘটনা জেলায় এটি প্রথম। এজন্য রায়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।