শুভ জন্মদিন

গায়ক আব্দুল জব্বারের জন্মদিন আজ

jঅস্ত্র হাতে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠিশিল্পী হিসেবেও মুক্তিযুদ্ধে ছিলো তার দারুণ ভূমিকা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বার। আজ তার ৮২তম জন্মবার্ষিকী। কিংবদন্তি এ শিল্পী ১৯৩৮ সালের ৭ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে ঘরোয়াভাবে কিছু আয়োজন রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয়তাবাদী সকল আন্দোলনে তার অবদান ভুলবার নয়। ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানে তিনি কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। বাঙালির সংস্কৃতি ও সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া মানুষদেরই একজন ছিলেন এ শিল্পী।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতে শিল্পী আব্দুল জব্বার গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে গণসংগীত পরিবেশন করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে জনমত ও ফান্ড তৈরিতে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে গণসংগীত গেয়েছেন। এভাবে গান করে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে প্রায় ১২ লাখ রুপি দান করেছিলেন আব্দুল জব্বার৷ তার গান যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও তিনি যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

আব্দুল জব্বারের গাওয়া ‘তুমি কি দেখেছ কভু জীবনের পরাজয় ‘সালাম সালাম হাজার সালাম..’ এবং ‘জয় বাংলা বাংলার জয়..’ গান তিনটি ২০০৬ সালের মার্চ মাস জুড়ে অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।

১৯৭৮ সালে ‘সারেং বৌ’ চলচ্চিত্রে আলম খানের সুরে তার গাওয়া ‘ও..রে নীল দরিয়া’ গানটি বেশ দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করে।

এই কণ্ঠশিল্পী তার কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮০ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক ও ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন আব্দুল জব্বার। কিন্তু তিনি রয়ে গেছেন কালজয়ী সব গানে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button