শীতের শুরুতেই চাই বাড়তি যত্ন
এবার আগেভাগেই কড়া নাড়ছে শীত। হিম হিম ঠান্ডা হাওয়া জানান দিচ্ছে শীত এসে গেছে। এসময় ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। এজন্য দরকার হয় বাড়তি যত্নের। তবে ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে ত্বকের যত্ন নেওয়ার তেমন সময়ই পাওয়া যায় না। তবে শীতের শুরুতেই কিছু সময় বের করে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার:
শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। তাই শীতকালে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার:
শীতের রোদে স্কিনের ক্ষতি হয় না এই ধারণাটা একেবারে ভুল। শীতকালে বাইরে বের হওয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন।
অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন:
গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকবেন। অতিরিক্ত গরম পানি মুখের ত্বকের ফলিকলগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে যা ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।
মুখের প্যাক:
অন্য সময়ের থেকে শীতের ফেইসপ্যাক হবে একটু আলাদা। যেমন- পাকা কলা, পাকা পেপে ও ময়দা এক সঙ্গে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই পেস্টটি ১০/১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।
ঠোঁটের পরিচর্যা
কখনোই জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না। এছাড়া কিছুক্ষণ পর পর লিপজেল ব্যবহার করা ভালো।
মেকআপ করার সময়:
মেকআপ করার সময় লিক্যুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। শীতকালে ক্রিম ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
চুলের যত্ন:
শীতকালে কখনোই ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। এতে করে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং চুল ভেঙে যায়। এছাড়া শীতে খুশকির উপদ্রপ হয় এজন্য এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো্।
কিছু নিয়ম মেনে চললেই শীতে ত্বক ও চুল নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হবে না।