প্রযুক্তি

বিকাশের পিন ও এসএমএস-এ আসা ৬ সংখ্যার নাম্বার কাউকে দিবেন না

মোজাম্মেল মিয়া, সহজ ও নির্ভরযোগ্য হওয়ায় সব সময় বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন। এক আত্মীয়ের পাঠানো ১০ হাজার টাকা তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে ছিল। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকা অবস্থায় একটা নাম্বার থেকে কল আসে মোজাম্মেলের ফোনে! কলদাতা জানালেন, বিকাশের কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন করেছেন। মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে হবে। না হলে অ্যাকাউন্টে সমস্যা হবে। অ্যাকাউন্টে সমস্যা হবে শুনে মোজাম্মেল একটু ভরকে গেলেন, বিকাশের কাস্টমার কেয়ার শুনে বিশ্বাসও করলেন।

সুতরাং ফোনের অপর প্রান্তের থাকা ব্যক্তি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যা যা তথ্য চাইলেন তার সব দিয়ে দিলেন। এরপর তার ফোনে মেসেজে ৬ ডিজিটের একটা নাম্বার আসল। কাস্টমার কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী সেই ব্যক্তি নাম্বারটাও জানতে চাইলেন, সহজ সরল মোজাম্মেল তাও দিলেন। তার এক মিনিট পরেই মোজাম্মেলের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা উধাও! মোজাম্মেল বুঝতে পারলেন- তিনি প্রতারিত হয়েছেন!

আমরা প্রায় সময়েই ‘প্রতারকের পাল্লায় পড়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও’ এমন ঘটনা শুনে থাকি। অনেকের হয়ত খুব কাছের মানুষ এভাবে টাকা খুইয়েছেন। তবে আমরা যদি একটু সচেতন হই, তাহলে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারি।

সম্প্রতি বিকাশ তাদের গ্রাহকদের ‘অ্যাকাউন্ট’ নিরাপদ রাখতে একটি সচেতনতামূলক ভিডিও তৈরি করেছে। ভিডিওতে প্রতারকের কাছ থেকে কিভাবে দূরে থাকা যাবে তার পরামর্শ দিয়েছে। তাই আসুন জেনে নেই- আপনার বিকাশ একাউন্ট এবং লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সেই পরামর্শ।


আপনার কাছে ফোন করে কেউ বিকাশ একাউন্টের পিন ও এসএমএস-এ আসা ৬ সংখ্যার নাম্বার জানতে চাইলে দিবেন না। যদি বিকাশের পরিচয় দিয়ে জানতে চায়- এরপরেও দিবেন না। কারণ ‘বিকাশ’ কর্তৃপক্ষ কখনো আপনার পিন নম্বর, সিক্রেট কোড, অথবা সিকিউরিটি কোড জানতে চাইবেন না।

এটি আপনার গোপন তথ্য, এটি কাউকে দিবেন না। এসব তথ্য কেউ চাইলেই বুঝবেন প্রতারক। তাই, এমন ফোন পেলেই কেটে দিন। যাচাই করার জন্যে বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ যোগাযোগ করুন।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button