নির্বাচন

নির্বাচন নিয়ে দিনভর ট্রাম্পের ‘ভুলভাল’ বক্তব্য

nনির্বাচনের পর দিনভর এ প্রসঙ্গে যে ‘অসৎ বক্তব্য’ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প; তার ভিত্তিই যেন বছরজুড়ে গড়ে তুলেছেন তিনি। তার দাবির সঙ্গে মিল নেই বাস্তবতার। নির্বাচন ঘিরে ট্রাম্পের দেওয়ার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন। কয়েক মাস ধরেই মেইল-ইন ব্যালটকে জালিয়াতি বলে আখ্যা দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।তাকে অপছন্দ করেন এমন ডেমোক্র্যাট গভর্নররা ভোট গণনার দায়িত্বে আছেন বলে দাবি করেন তিনি। আরও বলেছেন, নির্বাচনের পরের দিন ভোট গণনার স্বাভাবিক অনুশীলন অবৈধ। নির্বাচনের দিন এসব মিথ্যাচারেরই আরও বিস্তৃত রূপ দেখালেন রিপাবলিকান এই প্রার্থী। দিনভর ভুল বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায়। বুধবার সকালে নির্বাচন নিয়ে হোয়াইট হাউসে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। এখানেই তার পরিকল্পনা প্রথমে কাজে লাগান তিনি। ভিত্তিহীনভাবে ভুলে ভরা বক্তব্য দিয়ে কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচনে জিতে গেছি। নির্বাচনে প্রতারণারও অভিযোগ করেন ট্রাম্প। এরপর দিনভর টুইটেও ভুল তথ্য দেন তিনি।

ট্রাম্প টুইটে নির্বাচন ঘিরে কী পরিমাণ মিথ্যাচার করেছেন তার প্রমাণ দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষই। বেলা ৫টার দিকে তার টুইটের ছয়টিতে সতর্কতামূলক লেবেল জুড়ে দেওয়া হয়। অন্য টুইটগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যাবে একইচিত্র।

এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, পেনসিলভানিয়া, মিশিগানসহ অন্য কয়েকটি রাজ্যে পাঁচ লাখের বেশি ভোটে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। তার দেওয়া এই বক্তব্যও ভুল প্রমাণিত হয়, যখন দেখা যায় তার বক্তব্যের সময় অনেক কাউন্টিতে ভোট গণনা চলছিল।

আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘বিস্ময়কর ব্যালট’ তার প্রাথমিক এগিয়ে থাকাকে  ‘জাদুকরিভাবে নিশ্চিহ্ন’ করে দিয়েছে। তবে সিএনএন বলছে, এতে আসলে এতে বিস্ময়ের কিছুই ছিল না। তখনও অনেক ভোট গণনা বাকি।

বুধবার বিকেলে একটি টুইট করে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা নিজেদের বলে দাবি করেন দাবি করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া মিশিগানও নিজের বলে দাবি করেন তিনি। তবে ভোটের ফলে দেখা গেছে মিশিগানে বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন।

টুইটারে ট্রাম্প বলেন, আমরা এগিয়ে আছি। তবে তারা ভোট চুরির চেষ্টা করছে। তাদের এটা কখনই করতে দেওয়া হবে না। ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেলে আবার ভোট দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তবে এসব দাবিও মিথ্য প্রমাণিত হয় সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে।

ট্রাম্পের ভুয়া জয়ের দাবি নিয়ে তার পক্ষে বুধবার বিকেল থেকেই গুজব ছড়াতে থাকে। ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ম্যাকনানি, প্রচার ব্যবস্থাপক বিল স্টিফেনসহ অন্য মিত্ররা এতে অংশ নেন। সিএনএন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছিল অসততা, এই অসততাই তার পুনর্নির্বাচনের সময় মূল ভূমিকা রেখেছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে আর মাত্র কয়েকটি ইলেক্টোরাল ভোট প্রয়োজন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের। ২৬৪টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেক্টোরাল ভোট। বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button