সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে কার হাতে?
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসেও। তবে সিনেটে কিছুটা এগিয়ে আছে রিপাবলিকান পার্টি এবং প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৫টি সিনেট আসনের ১৭টিতে জিতেছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। তাদের সিনেট আসন এখন ৪৭। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা জিতেছেন ১২টি আসনে। তাদের সিনেট আসন সংখ্যাও এখন ৪৭টি। বাকি আসনগুলোর মধ্যে রিপাবলিকানরা এগিয়ে রয়েছেন ৫টিতে, ডেমোক্র্যাটরা ২টিতে। উল্লেখ্য, ১০০ আসনের সিনেটে অন্তত ৫১টিতে জয়ী হলে নিশ্চিত হবে নিয়ন্ত্রণ।
এদিকে প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউসে ডেমোক্র্যাটদের অবস্থা কিছুটা ভালো। মোট ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে ১৮৮টি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।
অন্যদিকে তাদের কাছাকাছি ১৮১টি আসন পেয়েছেন রিপাবলিকানরা। হাউস বা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে অন্তত ২১৮টি আসনের দরকার হবে।
এতদিন প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল ডেমোক্র্যাটদের। এখনও তারা সেখানে এগিয়ে আছেন। যদিও সামান্য ব্যবধানের এ এগিয়ে থাকাকে জয়-পরাজয় নিশ্চিত করার মাপকাঠি বলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল রিপাবলিকানদের। সেখানে ৪৭-৫৩ ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল রিপাবলিকানদের। পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ট্রাইবেকার ভোটও ছিল। এ কারণে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে বাইডেন জয়ী হলে ডেমোক্র্যাটদের লাগবে ৩টি আসন। আর বাইডেন হেরে গেলে লাগবে চারটি আসন। এখনও জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনার মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যে ফলাফল আসতে বাকি। ফলে সিনেট ও হাউসে চূড়ান্ত পর্যায়ে কী ঘটে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।