হাইলাইটস

মাগুরায় হলুদ আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

fমাগুরায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হলুদ রঙের আখ চাষ। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা। এ বছর আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় কষকরা খুশি। আখের দামও ভাল পাচ্ছেন তারা। মাগুরার মাটি এই হলুদ আখ চাষের জন্য উপযোগী যে কারণে জেলার চারটি উপজেলায় হলুদ আখ চাষ হয়ে থাকে। এই আখ চাষে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এর সাথে সাথী ফসল হিসাবে মসুর, পিয়াজ ও সবজি চাষ করা হয়। তাই বেশি লাভ হওয়ার কারণে এ অঞ্চলের কৃষকেরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে ।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আখের চাষ হলেও ওই আখ গুলো মাগুরার আখের মতো হলুদ আকার ধারণ করে না এবং মিষ্টি ও কম হয়। এই হলুদ আখ খেতে যেমন অন্যান্য অঞ্চলের আখের থেকে মিষ্টি ও নরম দেখতেও সুন্দর। এটি শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্য। এটি মেশিন দিয়ে ভাঙিয়ে গুড়-পাটালি করা হয় না। মাগুরার সবথেকে বেশি এই হলুদ আখ চাষ হয়, শ্রীপুর উপজেলার ঘাসিয়ারা গ্রামে।

এ ব্যাপারে ঘাসিয়াড়া গ্রামর গ্রামের কৃষক বাবু মোল্লা জানান , এবছর আমি ৫০ শতাংশ জমিতে হলুদ রংয়ের আখ চাষ করেছি। সর্বমোট খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এ বছর বিক্রির মাধ্যম ৩ লক্ষাধিক টাকার বশি ঘর তুলত পারবো বলে আশা করছি।

এবারে মাগুরাতে মোট ৮১ হেক্টর জমিতে হলুদ আখ চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ২০ হেক্টর, শ্রীপুর উপজেলায় ৪১ হেক্টর, মহম্মদপুর উপজেলায় ১৮ হেক্টর ও শালিখা উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে হলুদ জাতের আখ চাষ করা হয়েছে।

এব্যাপারে সুশান্ত কুমার প্রামানিক উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাগুরা বলেন, এ আখকে বলা হয় চিউইং টাইপ সুগারক্যান। এই হলুদ জাত আখ এ অঞ্চলের মাটির জন্য একটি অত্যন্ত উপযোগী। কৃষকেরাও এই আখ চাষের সাথে সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারে এ জন্য অন্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি লাভবান হয়। এতে রোগ বালাই নেই বললেই চলে। তাই লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। মাগুরা কৃষি বিভাগ এই আখ চাষের জন্য কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন ।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button