বাংলাদেশের হয়ে খেলতে অনুশীলনে সেই জাপানি তরুণী

বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখছিলেন জাপানি তরুণী মাতসুশিমা সুমাইয়া। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মাঠ মাতাতে চান। তার সেই স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। বলতে গেলে স্বপ্ন জয়ের প্রথম সোপানে উঠলেন এই জাপানিকন্যা। তাকে দলে ভেড়াতে ইচ্ছুক বসুন্ধরা কিংস। সুমাইয়াকে অনুশীলনের সুযোগ দিল বসুন্ধরা কিংস। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপাতত কিংসে আঁখি-কৃষ্ণাদের সঙ্গে অনুশীলন করবেন তিনি। দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারলে মেয়েদের লিগে কিংসের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন। এ বিষয়ে বসুন্ধরার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ আলম জোবায়ের নিপু বলেন, ‘সুমাইয়ার স্কিল খারাপ নয়; ওর ভিডিও দেখেছি। এখন দলীয়ভাবে ও কতুটুকু খাপ খাইয়ে নিতে পারে, তা দেখার আছে। অনুশীলনে ভালো করতে পারলে তাকে দলভুক্ত করার সুযোগ আছে।’
গত সপ্তাহে এই জাপানি তরুণীর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেই সময় বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল থমাস স্মল্লি এবং বাংলাদেশের নারী দলের কোচ গোলাম রাব্বানী বাফুফে ভবনে সুমাইয়াকে আমন্ত্রণ জানান। অনেক সময় তারা কথা বলেন। বাফুফে থেকে তখন জানানো হয়, মাতসুশিমা সুমাইয়ার ফিটনেস পরীক্ষা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা তার দিকে নজর রাখছেন। চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত পেলে তাকে জাতীয় দলে দেখা যেতে পারে। মাতসুশিমা সুমাইয়ার বিষয়ে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বেশ কিছু তথ্যও উপস্থাপন করে বাফুফে।
সেখানে লেখা হয়, মাতসুশিমার জন্ম জাপানে। সেখানেই বসবাস করছেন। তার মা জাপানি হলেও বাবা বাংলাদেশি। সেই অর্থে বাংলাদেশকেও হৃদয়ে লালন করেন তিনি। বাবার দেয়া নাম সুমাইয়ার আগে তিনি ব্যবহার করছেন মায়ের উপাধি ‘মাতসুশিমা’। তার মায়ের নাম মাতসুশিমা তমোমি। বাবার নাম মাসুদুর রহমান। এই জাপানিকন্যার বিষয়ে আরও জানানো হয়, সুমাইয়া একজন মিডফিল্ডার। শহরের সি ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে এ-লেভেলে পড়াশোনা করছেন তিনি। স্কুলের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুমাইয়া। সেই টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গোল করে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। সেরা ডিফেন্ডারও হয়েছিলেন। বর্তমানে সুমাইয়া দেশটির আইএমসি স্পোর্টিং একাডেমিতে খেলছেন। গত বছর কোনো এক ম্যাচে লিগামেন্টে আহত হয়েছিলেন সুমাইয়া। চিকিত্সকরা তাকে ফুটবল না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুমাইয়া ফুটবল খেলা ছাড়েননি। করোনা প্রকোপের মধ্যেও প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অনুশীলন করে যাচ্ছেন।