চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখবেন যেভাবে
যুগে যুগে জগতে গীত হয়েছে তরুণ ও তারুণ্যের। তাই রূপে তারুণ্য কে না চায়? কিন্তু এ তো আর এমনি এমনি হয় না। কিছু নিয়ম মানতেই হয়। অনেকে তো বুঝতেই পারেন না আসলে করণীয় কী? পুরোনো দিনের সাদা-কালো সিনেমা দেখেছেন তো? একই বয়সে তাঁদের সঙ্গে বর্তমান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পার্থক্যটা লক্ষ করেছেন কি? বেশি দূর যেতে হবে না, ষাট থেকে নব্বই দশকের পার্থক্যটা লক্ষ করলেই অবাক হবেন। এ আলোচনা শুধু একই বয়সী মানুষ দশকের পরিবর্তনে কীভাবে তারুণ্যের পরিবর্তন ঘটে, সেটি বোঝানোর জন্য। বর্তমান প্রজন্ম বেশি সতেজ থাকার কারণ উন্নত স্বাস্থ্যজ্ঞান, ভালো পুষ্টি গ্রহণ, ত্বকের যত্নের পাশাপাশি দৃঢ় মনোবল।
কীভাবে চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখবেন
হেলথ২৪-এর প্রতিবেদন বলছে, আমাদের দৈনন্দিন কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ভালো কাজগুলো প্রতিহত করে। তার মধ্যে রোদে পোড়া অন্যতম। খুব বেশি রোদ আমাদের ত্বককে কুঁচকানো ও বার্ধক্যের ছাপ ফেলতে সাহায্য করে। ধূমপান, মদ্যপান, নিয়মিত গভীর রাত জাগা এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাও ত্বকের জন্য ভালো নয়। এ ধরনের বার্ধক্যকে বাহ্যিক বার্ধক্য বলে, যা বাহ্যিক কারণে ঘটে।
অন্যদিকে, অন্তর্নিহিত বার্ধক্য (যা প্রাকৃতিকভাবে আসে), তা আমাদের ত্বকে মাত্র ২০ শতাংশ বিবেচিত হয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক বয়স্কতা আসার আগেই আমরা অভ্যাসগত কারণে বার্ধক্যকে বরণ করি। ত্বকে তারুণ্য থাকলে মনে স্বাচ্ছন্দ্য থাকে, হৃদয়ে বসন্ত বোধ করে। আমরা ৩০ বছর বয়স থেকে চোখের চারপাশে সূক্ষ্ম রেখায় বুড়ো হওয়ার প্রথম লক্ষণগুলো দেখতে শুরু করি। বুড়িয়ে যাওয়া ত্বক আমাদের ভেতরকার তেজ ক্ষয় করে। যদিও হরমোনসহ অনেক কারণ আমাদের বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় অবদান রাখে। তবে কিছু নিয়ম মানলে তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখা সম্ভব।
কোলাজেন ব্যাখ্যা
প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরে প্রচুর প্রোটিন হয়। এটি ত্বক, লিগামেন্টস এবং দেহের কাঠামো উন্নত করে। তরুণ বয়সে আমাদের শরীরে প্রচুর কোলাজেন থাকে, যা বাচ্চাদের এবং কিশোরদের ত্বকগুলো হাসির মতো স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরিয়ে আনে বারবার। তবে ২০ বছরের পর থেকে আমরা এটি কম উৎপাদন করি এবং কোলাজেনের গুণমানও খারাপ হতে থাকে। এ জন্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাসির রেখা গভীর হতে থাকে। এ জন্যই ডাক্তাররা বেশি কোলাজেন তৈরিতে উৎসাহী করেন।
প্রতিরোধ, প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধ
স্কিন রিনিওয়াল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মরিনের মতে, নান্দনিক চিকিৎসার জাদুভাণ্ডার হচ্ছে প্রতিরোধ। আপনার ত্বক কোন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় ভালো ফল দেয়, তা আয়ত্ত করতে হবে।
কী করবেন?
আপনি যদি ত্বক রক্ষণাবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। ফেসিয়াল করা, প্রাকৃতিক নির্যাস ব্যবহার করা এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা। তবেই ঝকঝকে ত্বক আপনি পাবেন। এ জন্য আলাদা করে ব্যয়বহুল কিছু করার দরকার পড়বে না। যদি কেউ ত্বকের অবহেলা করে রোদে পোড়ায়, খাবারে সচেতন না থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই চামড়া কুঁচকে যাবে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে। এরপর হয়তো চিকিৎসা করালে কিছুটা রি-কভার করা সম্ভব। তবে যিনি আগে থেকে সচেতন, তাঁর মতো ত্বক পাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।