প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। তবে করোনা মহামারির কারণে এ বছর পূজার সংখ্যা কমেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। পূজা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। উপজেলায় এ বছর ৯৯টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিমা তৈরি করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ মণ্ডপে প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ প্রায় শেষ। শুরু হয়েছে রং, তুলি ও সাজসজ্জার কাজও।
নীলাকাশ, সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলে জানান দেয় শরৎ বিরাজমান। জানান দেয় শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তার। যদিও এবার দেবী দূর্গা আসছেন হেমন্তে। আর করোনা মহামারির কারণে এবার কমছে অনুষ্ঠানের আড়ম্ব ও মণ্ডপের সংখ্যা।আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উপজেলার স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানে এসে রং তুলির কাজ করছেন। প্রতিটি পূজা মণ্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, গনেশ, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাঁস, পেঁচা, সর্পসহ বিভিন্ন প্রতিমা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পূজার সংখ্যা কমার পাশাপাশি কমেছে প্রতিমার মজুরিও।
দশর্নাথী সঞ্জয় সাহা বলেন, এবার করোনার কারণে আনন্দ উৎসব তেমন করতে পারব না। কোনো রকম প্রতিমূর্তী তৈরি করা হয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অজিত কুমার সাহা জানান, এবার করোনার কারণে পূজা মণ্ডপগুলোতে গাজীপুর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চাব্বিশটা বিধিমালা তৈরি করে দিয়েছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী এবার কালিয়াকৈর পূজা পালন করা হবে। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাদের এ ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখবে।