কারফিউয়ের আগে ফ্রান্সে বাড়ছে করোনারোগী
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নতুন করে শুরু হয়েছে ফ্রান্সে। প্যারিসসহ নয়টি শহর কারফিউ শুরুর আগে চব্বিশ ঘণ্টায় ৩০ হাজারের বেশি শনাক্ত দেখেছে ইউরোপের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফ্রান্স সরকার জানিয়েছে, সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় দেশটিতে ৩০ হাজার ৬২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে, সংখ্যাটি আগের দিন থেকে ৮ হাজার বেশি।
কভিড-১৯ এর নতুন করে ছড়িয়ে পড়া রোধে ফের কঠিন সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। স্থানীয় সময় শনিবার থেকে রাজধানী প্যারিসসহ নয়টি শহরে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কারফিউ আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটি। কারফিউয়ের আওতায় পড়া শহরগুলো হলো- প্যারিস, মার্সেই, লিওঁ, লিলে, সেন্ত-এতিয়েনে, রুয়েন, তুলুস, গ্রেনোবল ও মঁপেলিয়ে।
এই কারফিউয়ের আওতায় পড়বে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ। আপাতত চার সপ্তাহের জন্য হলেও ম্যাক্রোঁ সরকার এর সময়সীমা ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। সন্ধ্যা থেকে রাত্রিকালীন সময়ে এই কারফিউয়ের সময় বাসিন্দারা রেস্টুরেন্ট বা কারও বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারবেন না।
তিরিশ হাজারের বেশি শনাক্ত নিয়ে ফ্রান্সে সরকারি হিসেবে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩৪ হাজার। আক্রান্তের বৈশ্বিক তালিকায় দশম স্থানে আছে দেশটি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের। সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজারের কিছু বেশি। ফ্রান্সের পাশাপাশি ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতালি, পোল্যান্ড ও জার্মানি রেকর্ড শনাক্ত দেখেছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, ২৮৬ জন। ইউরোপে নতুন সংক্রমণ রোধে এবং মানুষের জীবন রক্ষায় কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া ‘খুব প্রয়োজনীয়’ হয়ে পড়েছে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।