ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকেহাইলাইটস
পূর্বাচলে ১১১ তলা
সুউচ্চ অট্টালিকার কথা ভাবলেই সবার মাথায় আসে বুর্জ খলিফা, চীনের সাংহাই টাওয়ার, সৌদি আরবের মক্কা ক্লক টাওয়ার, আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ইত্যাদি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় টাওয়ার হলো দুবাইয়ের নান্দনিক বুর্জ খলিফা। রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে নতুন বাণিজ্যিক শহর। এ যেনো আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন। সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি) নামের নতুন এ বাণিজ্যিক শহরটি আগামী সাত বছরে শতাধিক একর জমির ওপর তৈরি করা হবে। সিবিডিতে ৪৬৫ মিটার উচ্চতার ১১১ তলা বিশিষ্ট আইকনিক লিগ্যাসি টাওয়ার, ৭১ তলার স্বাধীনতা টাওয়ার ও ৫২ তলা বিশিষ্ট ভাষা টাওয়ারসহ ৪১টি গগণচুম্বী ভবন থাকবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ডেভেলপার কোম্পানি সূত্র জানায়,অন্যান্য ৩৮টি ভবনের প্রত্যেকটি উচ্চতায় ৪০ তলার সমান হবে। বাণিজ্যক শহরের এ পরিকল্পনায় একটি বড় সম্মেলন সেন্টারও থাকবে।
একটি দেশের অর্থনীতি টেকসই নাকি ভঙ্গুর তাও নির্ভর করে এ সব মহা প্রকল্পের ওপর। দুবাই বা চীন কিংবা আমেরিকার অর্থনীতির উন্নতির পেছনে এ সব প্রকল্পের অবদান কম কিসে। নতুন কোনো বিনিয়োগকারী বা পর্যটক যখন বাংলাদেশ নিয়ে জানতে চাবে দিনশেষে এসকল অবকাঠামো তাদের আকৃষ্ট করবে বাংলাদেশ নিয়ে।
বহির্বিশ্বে বর্তমানে হাজারো পর্যটক দুবাই কিংবা মালয়েশিয়া যায় শুধু বুর্জ খলিফা কিংবা পেটরনাস টুইন টাওয়ারের সঙ্গে একটি ছবি তুলতে! যুগের পরে যুগ এ সব অবকাঠামোই একটি শহরের পরিচয় বহন করে এবং হয়ে ওঠে নান্দনিকতা ও আভিজাত্যের প্রতীক। বাংলাদেশেও এমন একটি মেগা প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে এক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ও জাপানি প্রতিষ্ঠান কাজিমা যৌথভাবে রাজউকের কাছ থেকে এ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পায়। পূর্বাচলের ১৯ নম্বর সেক্টরে ১১৪ একর জমির ওপর এ কাজ করবেন তারা। ২০টি টাওয়ারে ১২.৯৯ মিলিয়ন বর্গফুটের অফিসের স্থানের পাশাপাশি ১৫টি টাওয়ারে ৩ হাজার ৮৫৮টি আবাসিক ইউনিটও থাকবে। ৪০ হাজার গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থাও থাকবে সেখানে। এ প্রকল্প নিয়ে অনেকেরই ভিন্নমত থাকতে পারে তবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দৃঢ়তা প্রকাশ পাবে তদুপরি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বহির্বিশ্বে।