হাইলাইটস

সিলেটে বায়োফ্লেক প্রযুক্তি ব্যবহারে মাছ চাষে সাফল্য

bio
বায়োফ্লক প্রযুক্তি কী- What is biofloc

মাছ চাষের জনপ্রিয় কৃত্রিম পদ্ধতি, বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল হয়েছেন তরুণ মৎস্য চাষি নাজিম উদ্দিন। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় তিনিই প্রথম বায়োফক মৎস্যচাষী। স্বল্প খরচ ও জায়গা ব্যবহার করে চার মাসের মাথায় আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন তিনি। সরেজমিন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের লোহারশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নাজিম উদ্দিন তার বসত ঘরের পেছনেই বায়োফ্লক মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন। পাশাপাশি রয়েছে তিনটি ট্যাঙ্ক। এর মধ্যে ১০ হাজার লিটারের দু’টি ট্যাঙ্কে কৈ ও ১৫ হাজার লিটারের অপরটিতে চাষ করেছেন শিং মাছ। নাজিম উদ্দিন জানান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বড়ভাইয়ের উৎসাহ-পরামর্শ ও সহযোগিতায় বায়োফ্লক প্রদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হন তিনি।

পরে ঘরের পেছনের খালি জায়গায় নির্মাণ করেন তিনটি ট্যাঙ্ক। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষে গেল ১৩ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে ১২ হাজার কৈ ও ৬ হাজার শিং মাছের পোনা সংগ্রহ করে শুরু করেন চাষ। চার মাসের মাথায় এখন খামারে বিক্রি উপযোগী কৈ মাছ রয়েছে প্রায় ১ হাজার কেজি। খুচরা ১২০ টাকা ধরে যার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। শিং মাছ রয়েছে প্রায় ১৬৭ কেজি। খুচরা ২শ টাকা কেজি ধরে যার বাজার মূল্য ৩৩ হাজার ৩শ টাকা। বায়োফক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক প্রথম চাষ থেকেই খরচ বাদে তার মূনাফা হবে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩শ টাকা।

নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি ও আমার এক বোন মিলে দৈনন্দিন কাজ-কর্মের পাশাপাশি খামার দেখা-শুনা করি। বায়োফ্লেক পদ্ধতিতে মাছ চাষে খরচ-পরিশ্রম কম। জায়গা অল্প হলেও চাষ করা সম্ভব। এ পদ্ধতি অধিক লাভজনক।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button