‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিং থিম দিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। মূলত বিদেশী পর্যটক আকর্ষণ এবং দেশের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে এ ব্র্যান্ড থিমটি দেয়া হলেও এক্ষেত্রে তেমন সাফল্য আসেনি। এ অবস্থায় ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ বাদ দিয়ে নতুন ব্র্যান্ডিং থিম আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত করা হচ্ছে ‘আইকনিক ল্যান্ডমার্ক’ও।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বজুড়ে উপস্থাপনের জন্য নতুন ‘ব্র্যান্ড থিম’ ও ‘আইকনিক ল্যান্ডমার্ক’ নির্ধারণ করতে চলতি সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত উদ্যোগ নেয়া হয়। দেশবাসীর কাছে থিম ও ল্যান্ডমার্কের প্রস্তাব চেয়ে ৩ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিবি। এজন্য ঘোষণা করা হয়েছে আকর্ষণীয় পুরস্কারও। বিটিবির উদ্দেশ্য পুরনো ‘ব্র্যান্ড থিম’ বাতিল করে এবং ‘আইকনিক ল্যান্ডমার্ক’ যুক্ত করে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বজুড়ে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা।
বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং থিম পরিবর্তন এবং আইকনিক ল্যান্ডমার্ক নির্ণয়ের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বিবেচনায় অনেক নাম এসেছে। আশা করছি অক্টোবরের মধ্যেই চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া সম্ভব হবে।
পর্যটক আকর্ষণে এবং দেশের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে নানা উপাধিতেই পরিচিত অনেক দেশ। বাংলাদেশও ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত হতে চেয়েছিল। তবে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ পর্যটক আকর্ষণের জন্য উপযুক্ত ও সুনির্দিষ্ট নয়। পর্যটনসংশ্লিষ্টদের মতে, সব দেশই নিজেদের সুন্দর বলে দাবি করে। ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা হয়, যা অন্য কোনো দেশের নেই। এ উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং থিম পরিবর্তনেরও উদ্যোগ নিয়েছিল বিটিবি।
থিম নির্ধারণের পাশাপাশি নির্ধারণ করা হবে দেশের শীর্ষ স্থাপত্য আইকন। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন—‘তাজমহল’ ভারতের, ‘আইফেল টাওয়ার’ ফ্রান্সের, ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ যুক্তরাষ্ট্রের ইমেজ বহন করে। তেমনি বাংলাদেশেরও একটি আইকন নির্বাচন করে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।