সেফটি পিন দিয়ে চেইন বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড
সেফটি পিন দিয়ে চেইন বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম তুলেছেন পার্থ চন্দ্র দেব নামে বাংলাদেশি এক যুবক। তার তৈরি চেইনটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চেইনের স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ডাকযোগে গিনেস কর্তৃপক্ষের দেয়া সনদপত্র এসে পৌঁছায় পার্থর কাছে। পার্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের প্রয়াত জগদীশ চন্দ্র দেবের ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিএসএস (ডিগ্রি) শেষ বর্ষের ছাত্র পার্থ পড়াশোনার পাশাপাশি ফান্দাউক বাজারে তার ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করেন। দেশের ও নিজের নাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ভিন্ন কিছু করার জন্য উদ্যোগী হন তিনি। সেজন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় চেইন তৈরি করে স্বীকৃতি পেতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেন পার্থ। এরপর গিনেস কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে গত বছরের ২৩ জুলাই থেকে টানা ৪৫ দিন সেফটি পিন দিয়ে চেইন তৈরির কাজ করেন তিনি। চেইনটি তৈরির জন্য ১৩ হাজার ৩৭০ টাকায় দুই সেন্টমিটার আকারের এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩টি সোনালি রঙের সেফটি পিন কেনেন পার্থ। তার তৈরি চেইনটির দৈর্ঘ্য দুই হাজার ৪০১ দশমিক ৮৩ মিটার। ফান্দাউক গ্রামের শ্রী শ্রী পাগল শংকর মন্দিরে চেইনটির দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয়।
পার্থ চন্দ্র দেব বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ঘেঁটে দেখেছি ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল ভারতের হার্শা নান ও নাভা নান যৌথভাবে সেফটি পিন দিয়ে দীর্ঘতম চেইন তৈরির রেকর্ড করেছিলেন। তাদের চেইনটির দৈর্ঘ্য ছিল এক হাজার ৭৩৩ দশমিক এক মিটার। তাদের রেকর্ড ভাঙার জন্য দোকানে থাকা দুই সেন্টিমিটার আকারের সোনালি রঙের সেফটি পিন দিয়ে সবচেয়ে বড় চেইন তৈরির পরিকল্পনা করি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিবন্ধিত হয়ে ওই বছরের ২০ এপ্রিল আবেদন করি। এরপর ১৯ জুলাই গিনেস কর্তৃপক্ষ আমাকে চেইন তৈরির অনুমতি এবং পরামর্শ দেয়। চেইন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩টি সোনালি রঙের সেফটি পিন। গত বছরের ২৩ জুলাই থেকে কাজ শুরু করেন পার্থ। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা কাজ করেছেন পার্থ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে গিনেস কর্তৃপক্ষের সনদ পার্থর হাতে এসে পৌঁছায়।