ঢাকা: হঠাৎ করে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর খুচরা বাজারে রাতারাতি রান্নায় অত্যাবশ্যকীয় মসলাজাতীয় এ পণ্যটির দাম বেড়ে গেছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। পেঁয়াজের বাড়তি দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সংকটে দাম বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘিরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এদিন রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি, আর ছোট আকৃতির দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতি কেজি। অথচ দু’দিন আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ৭০ টাকায় আর ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। অন্যদিকে, মাত্র একদিনের ব্যবধানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ এসব বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়।
মসলাজাতীয় পণ্য আদায় কেজিতে ১০ টাকা বাড়লেও, রসুন ও কাঁচা মরিচের দাম অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। মরিচের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। হামিদা নামে রামপুরা বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের কথা বললেও বাজারে আগের পেঁয়াজ আছে। একদিনে কীভাবে দাম বাড়ে পেঁয়াজের? ব্যবসায়ীরা আগের মতো সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন। সরকারি ভাবে অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। ’ তবে এ ক্রেতার সঙ্গে একমত নন খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা হাসি। তিনি বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের সংকট আছে এর মধ্যে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা এলো। এতে বাজারে প্রভাব পড়েছে। ’